রবিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

কারাপণ্যের কারুকাজ টানছে দর্শনার্থীদের

ওলী আহম্মেদ, শেকৃবি

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কারাগারে সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের তৈরি হরেক রকমের পণ্য নজর কাড়ছে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের। বাণিজ্য মেলায় কারাপণ্যের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে কারুখচিত নানা ধরনের পোশাক ও আসবাবপত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ পরিচালিত ‘কারাপণ্য’ প্যাভিলিয়নে। মেলা ঘুরে দেখা যায়, মূল ফটক পেরিয়ে হাতের বাম দিকে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে প্যাভিলিয়নটিতে মিলছে দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে নিয়ে আসা কয়েদিদের তৈরি পণ্য। প্যাভিলিয়নটির ভিতরে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড় সহজেই বুঝিয়ে দেয় তাদের কাছে কারাপণ্যের     কদর। কয়েদিদের তৈরি এসব পণ্যে বাঙালিয়ানার স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি। বিশেষ করে কাঠ ও বেতের তৈরি চেয়ার, মোড়া, বাঁশের চেয়ার, টেবিল, খাবারের বড় ঢাকনা, পাটের ব্যাগ, ফাইল, ভ্যানিটি ব্যাগ, দৃষ্টিনন্দন টি-টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, বিশেষ মোটা কাপড় ও পুঁতির মানিব্যাগ, জুতা, বিছানার চাদর, পাটি, কার্পেট, টি-শার্ট, নকশিকাঁথা নজর কেড়েছে ক্রেতাদের।

এর মধ্যে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় পাটের ব্যাগ, বেতের মোড়া ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বাঁশ ও প্লাস্টিকের চেয়ার ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা, খানদানি চেয়ার ২ হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার ৫০০ টাকা, ফলের ঝুড়ি ১০০ থেকে ২৫০ টাকা, বাঁশের কুলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পানদানি, কমলদানি ও খাবারের ঢাকনার দাম ৩০০ টাকা। এ ছাড়া টি-শার্ট ২০০ থেকে ৫০০ ও ২ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন নকশিকাঁথা।

প্যাভিলিয়নটির দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, ‘কারাগারকে প্রকৃতপক্ষে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রচেষ্টার একটি অংশ এই কারাপণ্য। কারাগারের ভিতরে কয়েদিদের এসব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি। এসব পণ্যের লভ্যাংশ তাদের পরিবারের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়।’

উত্তরা থেকে আসা মিনু মমতাজ বলেন, ‘আমি আগে জানতাম কারাগারে শুধু কয়েদিরা মারামারি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের রুচিসম্মত হস্তশিল্প প্রশংসার দাবি রাখে। পণ্যগুলোর দামও খুব বেশি নয়। অন্য সব স্টল থেকে প্যাভিলিয়নটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর