বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

নৌযান থেকে আদায় হবে মাশুল

বাতিঘর আইন পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

নৌযান থেকে আদায় হবে মাশুল

সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপদ নৌ-চলাচল এবং দেশের বন্দরে চলাচলরত নৌযান থেকে মাশুল ও জরিমানা আদায়ের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ বাতিঘর আইন-২০২০’ পাস হয়েছে সংসদে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে গতকাল ‘বাংলাদেশ বাতিঘর বিল-২০২০’ বিলটি পাস হয়েছে। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এর আগে বিলটির ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম ও পীর ফজলুর রহমানের তিনটি সংশোধনী গৃহীত হয়। জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সদস্যদের আনা অপর সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বন্দরে আগত এবং প্রত্যাগত ও এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে যাতায়াতের জন্য জাহাজের সময়, বাতিঘর মাশুল নির্ধারণ ও আদায় করবে। নৌবাণিজ্য অধিদফতর বা তার পক্ষে কাস্টমস কমিশনার সরাসরি বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাতিঘর মাশুল আদায় করবে। জাহাজের ধারণক্ষমতা হিসেবে মাশুল নির্ধারিত হবে। তবে ১০ টনের নিচে যে কোনো জাহাজ এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত জাহাজের মাশুল লাগবে না।

দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে বর্তমানে তিনটি বাতিঘর বিদ্যমান ও আরও চারটি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

কোম্পানি (সংশোধন) বিল উত্থাপিত : ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে ‘কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০’ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। গতকাল বিলটি উত্থাপন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে একদিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দিতে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদে জানিয়েছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন বর্ষ ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম উড়াল সেতু ‘মেট্রোরেল’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব তথ্য জানান। সেতুমন্ত্রী আরও জানান, প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উত্তরা ৩য় পর্ব হতে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রকল্পে সার্বিক গড় অগ্রগতি ৪০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৬ স্টেশনবিশিষ্ট আধুনিক এই মেট্রোরেল ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। তিনি আরও জানান, প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব হতে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপোতে ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। ইতিমধ্যে ৯ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে।

দ্বিতীয় পদ্মা সেতু : আরেক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, আরিচা-পাটুরিয়া অংশে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ সেতু নির্মাণে নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২০১৮ সালে ৩০ মে অনুষ্ঠিত প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর