সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

গাজীপুরে পোশাক কারখানা কিছু বন্ধ, কিছু খোলা

গাজীপুর প্রতিনিধি

করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে গতকাল গাজীপুরের পোশাক কারখানাগুলো খোলা ও বন্ধ নিয়ে দিনভর ভিন্নচিত্র দেখা গেছে। কোনো কোনো কারখানায় শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেছে। আবার কিছু কারখানার ফটকই খোলেনি। তবে বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, বিজিএমইর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাগুলো ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা জানায়, কারখানা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকায় তারা গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ফোন করে জানানো হয়েছিল যে, রবিবার কারখানা খোলা থাকবে। তাই কাজে যোগ দিতে শনিবার ভাড়া বাড়িতে ফেরেন। সকালে অফিসে গিয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটির নোটিস দেখেন। তবে, গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম স্বল্প পরিসরে চালু ছিল।

গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়ায় এনার্জিপ্যাক ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম রাজীব সাংবাদিকদের জানান, করোনা সংক্রমণ রোধের সব ব্যবস্থা রেখেই কারখানা (অর্থাৎ নিরাপদ দূরত্ব, তাপমাত্রা মাপা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া) চালু রেখেছি। আগের ১০ দিন বন্ধ ছিল। যেগুলোর ক্রয়াদেশ আছে আমরা সেগুলোর কাজ করছি। এখনো জার্মানির মার্কেট খোলা আছে। কারখানা বন্ধ রাখলে জার্মানিতে আমাদের অর্ডারগুলো বাতিল হয়ে যাবে। তাই আমরা উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি। আমাদের জনবল সাড়ে ৪ হাজার। সকলেই নিরাপদে কাজ করছে। এ কারখানার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ও শ্রমিক জানিয়েছেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের এসব নিরাপত্তায়ও করোনা সংক্রমণ থেকে তারা নিরাপদে থাকার ভরসা পাচ্ছেন না। তাই এ বিপদকালীন তারা ঘরে থাকার ছুটি চাচ্ছেন।  গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর এলাকায় কর্মরত শিল্প পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল জলিল জানান, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি ও কাশিপুর এলাকায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে বিজিএমইএ’র নির্দেশনা অনুযায়ী বেশিরভাগ কারখানা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দিয়ে দেয়। তবে ওই এলাকায় কিছু কারখানা স্বল্প পরিসরে খোলা রয়েছে। গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকার গরীব এন্ড গরীব সোয়েটার কারখানার অপারেটর জলিল জানান, ২৬ মার্চ তারা ছুটি পেয়ে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর কথা জানতেন না। তাই তিনি কাজে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মালিক আমাদের ফিরে যেতে বলেছেন। এসময় আমরা কবে বেতন পাব, জানতে চাইলে তারিখ না জানিয়ে শুধু পরে দেওয়া হবে বলেন কারাখানার কর্তৃপক্ষ। এখন আমাদের হাত খালি। বাড়ি ভাড়া, দোকান বাকি দিতে হবে। এনিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর