মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ঝুঁকিতে খুলনার দুই লাখ বস্তিবাসী

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ঝুঁকিতে খুলনার দুই লাখ বস্তিবাসী

খুলনার খালিশপুর হাউজিং নিউ কলোনির চারপাশে অসংখ্য বস্তি। বাঁশের বেড়া ও টিনের ছোট ঘরে ঠাসাঠাসি করে থাকেন নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। নোংরা পরিবেশে একই জায়গায় চলে রান্নাবান্না, কাপড় ধোয়া, গোসল। সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের জন্য করোনা  প্রতিরোধে সাবান ও মাস্ক কেনা অনেকটা বিলাসীতার মতোই। বিশ্লেষকদের মতে, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে কাছাকাছি বসবাস ও একই ল্যাট্রিন-বাথরুম ব্যবহার করায় সহজেই তাদের মধ্যে সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে। জানা যায়, খুলনা নগরীর কয়েকশ ছোট-বড় বস্তিতে প্রায় দুই লাখ নিম্নআয়ের মানুষ বসবাস করে। ন্যূনতম স্বাস্থ্য সচেতন না হওয়ায় তাদের ঘিরেই রয়েছে মারাত্মক করোনাঝুঁকি। বাসিন্দারা জানান, বস্তিতে থাকলে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা যাচ্ছে না। ময়লা-আবর্জনা তো আছেই। তার ওপর একই জায়গায় রান্নাবান্না, পাশেই বাথরুম। কাছাকাছি জায়গায় ঘুমানো। মারাত্মক করোনা আতঙ্কে থাকতে হয় সবাইকে। বস্তির বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ জহুরা বেগম বলেন, ‘স্বামী নেই, সাবান-মাস্ক পাব কনে, হাত ধোব কী দিয়ে। হাত ধোয়ার কিছু লাগবে না। দুবেলা খেতেই পারি না। ওসব করব কী দিয়ে।’ নগরীর ঘাট এলাকার নিউ গ্রিনল্যান্ড বস্তি, আনসার ক্যাম্প বস্তি, নতুন বাজার চরবস্তি, পুরাতন শেখপাড়া বস্তি সবখানেই একই রকম চিত্র। বেসরকারি সংস্থা ওবাট হেলপারস-এর পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বস্তিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কোনোমতেই সম্ভব হচ্ছে না। ঠাসাঠাসি করে একই জায়গায় অনেক মানুষ থাকায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। আর করোনা প্রতিরোধে এসব স্থানে সচেতনতার তাগিদ দিয়েছেন খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের চিকিৎসক ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তবে খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আবদুল্লাহ বলেন, বস্তিগুলোতে এরই মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের জীবনমান উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর