বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

পাওনা পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনে কাঁচা পাট সরবরাহকারীরা

প্রধানমন্ত্রী-পাটমন্ত্রীকে স্মারকলিপি বিজেএমসি ঘেরাও কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

কাঁচাপাট সরবরাহকারীদের পাওনা ২৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন(বিজেএমসি)। এরই মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মিলে পাট সরবরাহকারী ব্যবসায়ীরা। ফলে পাওনা আদায়ে তারা প্রধানমন্ত্রী ও পাটমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান, বিজেএমসি ঘেরাও, অনশনসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত বিজেএমসির কাছে সরবরাহ করা পাটের মূল্য বাবদ ২৬৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে মিলঘাট ব্যবসায়ী ও এজেন্সিগুলোর। ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উৎপাদিত পণ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিক্রি করতে না পারায় পাট সরবরাহকারীদের কাছে বিজেএমসির দেনা বাড়তে থাকে। আন্দোলনরত ‘সাধারণ পাট ব্যবসায়ী সমিতি’র আহ্বায়ক শামীম আহম্মেদ মোড়ল জানান, বর্তমানে বিজেএমসির কাছে খুলনা জোনের ব্যবসায়ীরা ১৩০ কোটি টাকা, ঢাকা জোনের ৫৫-৬০ কোটি ও চট্টগ্রাম জোনের ব্যবসায়ীরা ৭০-৭৫ কোটি টাকা পাবেন। গতকাল খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পাট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সচিব গাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিনের সম্পর্কের সুবাদে ব্যবসায়ীরা বাকিতে পাট সরবরাহ করেছেন। কিন্তু পাটকল বন্ধ হওয়ায় দেনার দায়ে তাদেরকে পথে বসতে হবে। বিজেএমসির কাছে পাওনা আদায়ে ১৭ জুলাই ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী ও পাটমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ওই দিন পাট ব্যবসায়ীদের বৈঠকে চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিজেএমসির কাছে এখনো উৎপাদিত ৩০০ কোটি টাকার পণ্য ও ৫০-৬০ কোটি টাকার কাঁচাপাট রয়েছে, যা দিয়ে ব্যবসায়ীদের পাওনা পরিশোধ করা যায়।

 পাওনা পরিশোধ করা না হলে কৃষক, মিলঘাট ব্যবসায়ী ও এজেন্সিগুলো বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর