রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

জোনভিত্তিক লকডাউনে কমছে আক্রান্ত

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

করোনা প্রতিরোধে খুলনা মহানগরীকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করে কড়াকড়ি লকডাউনে সুফল মিলেছে। পুরো শহরের বদলে আক্রান্তের দিক থেকে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে রেড জোন ও কিছুটা কম ঝুঁকির এলাকাকে ইয়েলো জোন ঘোষণা করে লকডাউনের আওতায় আনা হয়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে এরই মধ্যে ওই এলাকায় সংক্রমণের হার অনেকটা কমেছে। খুলনা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা যায়, খুলনায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৫০ জন। এর মধ্যে গত সাত দিনে শনাক্ত হয়েছেন ৫১৭ জন; যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬০ জন কম। পাশাপাশি সুস্থতার হারও তুলনামূলক বেড়েছে। গত সাত দিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৫৪ জন; যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬৯৭ জন। এদিকে করোনা শনাক্তের হার কমতে থাকায় আশা সঞ্চার হয়েছে প্রশাসনে। এ অবস্থা ধরে রাখতে কোরবানির ঈদের সময়ও সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, গত রোজার ঈদের পর থেকে খুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকে।

এ অবস্থায় খুলনাকে রেড ইয়েলো গ্রিন- এ তিন জোনে ভাগ করা হয়। রেড জোনে প্রথম দফায় ২৫ জুন মধ্যরাত থেকে দুই সপ্তাহের কড়াকড়ি লকডাউন দেওয়া হয়।

এরপর ১৬ জুলাই মধ্যরাত থেকে সেখানে ইয়েলো জোন ঘোষণা করা হয়। রেড জোনের ওই এলাকায় প্রবেশপথগুলোকে বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করে। রেড জোনে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার কারণে ওই এলাকায় সংক্রমণ কমেছে। ফলে রেড জোনের এলাকাকে ইয়েলো ও গ্রিন জোনে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে খুলনায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালু রয়েছে। পাশাপাশি করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, আদ-দ্বীন হাসপাতাল ও সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে রোগী ভর্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর