শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার ওষুধ নিয়ে বাণিজ্য!

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কারোনাভাইরাসের জন্য নির্ধারিত রেড জোনের একজন রোগীর স্বজন আবুল মনসুর। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর ওই রোগীকে সাতদিনের কোর্স হিসেবে ২০০ মিলিগ্রামের ফ্যাভিপিরাভির (জেনেরিক নাম) নামে একটি ট্যাবলেট খেতে বলা হয়। কিন্তু এটি ব্যয় বহুল হওয়ায় তিনি খাওয়াতে পারেননি। তবে অন্যান্য ওষুধ সেবন করে তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন। আবুল মনসুর বলেন, ‘প্রথমে ভয়ে ওষুধ কিনতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে করোনা আক্রান্ত কয়েকজনের সঙ্গে পরামর্শ করে ওইটা ছাড়া চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। পরে নমুনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ওয়ার্ডে অনেক রোগীকে ট্যাবলেটটি খেতে বাধ্য করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের ওষুধটি নিয়ে বাণিজ্য করা হচ্ছে।’ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফ্যাভিপিরাভির ট্যাবলেটটি অনেক চিকিৎসক এন্টি ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে রোগীদের সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন। চমেক হাসপাতালের রোগীদের প্রথম দিন চারটি করে দিনে তিনবার ১২টি। দ্বিতীয় দিন থেকে দিনে তিনটি করে তিনবার করে মোট ৬২টি ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। ১০টি ট্যাবলেটের এক পাতার ওষুধ কোম্পানি ভেদে বর্তমান মূল্য ১৭৩০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত। চমেক হাসপাতালের কভিড ওয়ার্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আবদুস সাত্তার বলেন, ‘জাতীয় গাইডলাইন এবং রোগীর রোগের ধরন অনুসারে ওষুধ দেওয়া হয়। প্রয়োজন ছাড়া কোনো রোগীকে ওষুধ দেওয়া হয় না।’ রোগীদের অভিযোগ, ওয়ার্ডে প্রতিদিন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ট্যাবলেটটি প্রেসক্রিপশনে লেখা হয়েছে কিনা দেখেন। প্রতিদিন তারা ওয়ার্ড ভিজিটও করেন। বলা যায়, ওষুধটি লিখতে বাধ্যও করা হচ্ছে।

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সাত দিনের মধ্যে এটি খাওয়াতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে ট্যাবলেটটির দাম বেশি হওয়ায় অনেক গরিব-অসহায় রোগীরা এটি খাওয়াতে পারছেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর