বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সাইনবোর্ড লাগিয়ে সন্ধ্যা নদী দখল

প্রশাসন ও মৎস্য অফিসকে ম্যানেজ করে ১ কিলোমিটার জুড়ে বাঁধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সাইনবোর্ড লাগিয়ে সন্ধ্যা নদী দখল

রাজশাহীর পুঠিয়ায় সন্ধ্যা নদী দখল করে মাছ চাষ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। রীতিমতো সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দখলে নেওয়া হয়েছে নদী। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসকে ম্যানেজ করে ১ কিলোমিটার জুড়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এতে ওই এলাকার মৎস্যজীবী পরিবারগুলো ক্ষুব্ধ। পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, নদী উন্মুক্ত থাকবে। এখানে সবাই মিলে মাছ ধরতে ও চাষ করতে পারেন। নদীতে কোনো বাঁধ দেওয়া যাবে না। নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। স্থানীয়রা জানান, এ বছর স্থানীয় প্রভাবশালীরা নন্দনপুর বাজার থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন। ‘মৎস্য কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ’ নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে নদীর উৎসমুখ দখল করা হয়েছে। নদীর পাশাপাশি তাদের দখলে ব্যক্তিমালিকানা জমিও আছে। এলাকার মৎস্যজীবীরা বলেন, সন্ধ্যা নদীতে মাছ ধরে এ এলাকার মৎস্যজীবী ৩০/৩২টি পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে। নদীটির বেশির ভাগ এলাকা ভরাট হয়ে যাওয়ায় শীতের শুরুতেই তা শুকিয়ে যায়। নদীর যে অংশটি প্রভাবশালীরা দখলে নিয়েছেন তা মাছের অভয়াশ্রম। সেখানে সারা বছর পর্যাপ্ত পানি থাকে। নদীটি সবার মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত ছিল। কথিত মৎস্য কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজের সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নন্দনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান, হাতিনাদা গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও জাহিদ হোসেন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসকে একাধিকবার স্থানীয়রা জানালেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। কথিত মৎস্য কমিউনিটির সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এ কমিউনিটিতে যারা আছেন সবাই দলীয় লোকজন। তারা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রশাসনের মৌখিক অনুমতিতে নদীতে মাছ চাষ করছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওমর আলী বলেন, ‘নদীর ওই স্থানটি আবর্জনায় অপরিষ্কার থাকত। তাই ওখানে কিছু লোক নদী পরিষ্কার করে মাছ চাষ করছেন। তাদের বলা হয়েছে মাছ চাষে এলাকার সবার যেন অংশগ্রহণ থাকে। মৎস্যজীবীরা মাছ চাষে টাকা-পয়সা দিতে পারেননি তাই তাদের অংশগ্রহণ নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর