সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

রাগ কমাতে গোসা নিবারণী পার্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাগ কমাতে গোসা নিবারণী পার্ক

শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে রাজধানীর রাগ বা ক্ষোভ কমানোর গোসা নিবারণী পার্ক। প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে নির্মাণকাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ফলে বদলে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ওসমানী উদ্যান। তবে এ পার্কের প্রধান আকর্ষণ ঈশা খাঁর আমলের কামান যেখানে যে অবস্থায় আছে, সেখানে রাখা হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ওসমানী উদ্যান একটি ব্যতিক্রমধর্মী পার্ক নির্মাণের কাজ শেষ হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মাণকাজ চলছে। সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন দেড় বছর আগে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছিলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নগরবাসী চাইলে তাদের রাগ ও ক্ষোভসহ বিভিন্ন চাপ কমাতে সেখানে যেতে পারবেন। সেখানে বিনোদনের জন্য থাকছে বড় পর্দায় থ্রি-ডি সিনেমা দেখার ব্যবস্থা। ইলেকট্রনিক কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ চলছে। এ ছাড়া দেখা ও শোনা যাবে হারানো দিনের জনপ্রিয় গান। আরও থাকছে বিশালকায় পুকুর। চাইলে পুকুরে সাঁতার কাটতে পারবেন যে কেউ। বিনোদন পিপাসুদের জন্য থাকবে প্যাডেল বোট। ব্যায়ামাগার তো থাকছেই। আরও থাকবে বড়শিতে মাছ শিকারের ব্যবস্থা। থাকছে নামমাত্র মূল্যে উন্নতমানের খাবারের জন্য আধুনিক ক্যাফেটেরিয়া।

এ ছাড়া বিখ্যাত ব্যক্তিদের আঁকা জলচিত্র ও বাহারি রং-বেরঙয়ের ছবি স্থান পাবে পার্কজুড়ে। এ ছাড়া প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলার জন্য টোল ফ্রি টেলিফোন ব্যবস্থা থাকবে। এ জন্য চারটি বুফ স্থাপন করা হয়েছে। বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য শেড থাকবে। এ পার্কে ৫০ বছরের অধিক বয়সী ব্যক্তিদের জন্য টিকিট লাগবে না। পার্কের ভিতরে ব্যাংকের এটিম বুথ থাকবে। পার্ক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সময় গ্রামে নদীর ধারে একটি জায়গা থাকত। যেখানে রাগ কমানোর জন্য গ্রামবাসীরা যেতেন। সেই ঐতিহ্য অনেক আগে শহরের জীবন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।  বর্তমানে  শহুরে জীবনে অনেক চাপ আছে। ফলে শহরবাসী সহজেই ধৈর্য্য হারিয়ে মানসিক চাপে পড়তে পারেন। দক্ষিণ সিটির এক কর্মকতা বলেন, যদি স্ত্রীর সঙ্গে আপনার ঝগড়া হয়। তাহলে এ পার্কে এসে আরাম করতে পারবেন। যার অতিরিক্ত রাগ, তাকে অনেকেই ভয় পায় বা তাকে সবকিছু থেকে একটু দূরে রাখতে চায়। যিনি রেগে যান তার জন্য এটা অবশ্যই আনন্দের নয়। তাই অতিরিক্ত রাগের মানুষকে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে রাগের আসল কারণ। প্রায় ১৮ একর এলাকাজুড়ে পার্কটি গড়ে তোলা হচ্ছে। সবুজ গাছ-গাছালিতে পুরো পার্কটি ঘিরে ফেলা হবে। এ ছাড়া পুরো পার্কের চারপাশে হাঁটার জন্য থাকবে ওয়াকওয়ে। পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ পার্ক হবে রাজধানীর গর্ব। সব ধরনের ধূমপানমুক্ত হবে এ পার্ক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর