কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং দ্বীপের নয়নাভিরাম পরিবেশে গড়ে উঠছে দেশের প্রথম পর্যটননির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চল সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক। এটি হবে এশিয়ার সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত পর্যটন কেন্দ্র। যা মূলত বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই নির্মাণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক ইন্টার-এশিয়া গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে ভূমি ইজারা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইন্টার-এশিয়া গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক রিক হক সিকদার এবং বেজা-এর নির্বাহী সদস্য মো. আবদুল মান্নান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী চায়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী, বন ও পরিবেশ সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি এবং বিজিমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক, পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংস লিমিটেডের পরিচালক, শ্ন হক সিকদার, সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহন প্রমুখ। চুক্তি স্বাক্ষরের পর রিক হক সিকদার বলেন, ‘আমরা সাবরং ট্যুরিজম পার্ককে সত্যিকার অর্থে বিশ্মানের পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলব। এ জন্য আমরা সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইনের বিশ্সেরা প্রতিষ্ঠানকে এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করেছি।’ বেজা চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন ক্যাটাগরির রিসোর্ট ও হোটেলের পাশাপাশি গলফ কোর্স, শ্পিং সেন্টার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, অ্যামফিথিয়েটার, কনভেনশ্ন সেন্টার, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, হাসপাতাল, ফায়ার স্টেশ্ন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র থাকবে।
এ ছাড়া পয়ঃবর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট, কঠিন বর্জ্য ও ই-বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট, পাওয়ার প্ল্যান্ট, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশ্ন, পানি পরিশোধন ও সংরক্ষণাগার, সোলার প্যানেল এবং বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট হবে। যোগাযোগের জন্য বাস ডিপো, ট্রান্সপোর্টেশ্ন হাব, হেলিপ্যাড ও জেটি স্টেশ্ন থাকবে। রাস্তা, হাঁটা পথ ও বাইসাইকেল লেনের জন্য রাখা হবে। এ ছাড়া প্রধান আকর্ষণ সমুদ্রসৈকত, ঝাউবন, লেক ও গ্রিন পার্ক ইত্যাদি অনেক কিছুই করা হবে।