বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা
পৌনে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ

এবি ব্যাংকের সাবেক ৩ কর্মকর্তাসহ চার জনের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৌনে চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এবি ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন- মেসার্স ওয়ান থ্রেড অ্যান্ড এক্সেসরিজ ও বুশরা অ্যাসোসিয়েটসের মালিক খন্দকার মেহমুদ আলম (নাদিম), মতিঝিলের এবি ব্যাংক করপোরেট শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক আবু সালেহ মো. আবদুল মাজেদ, মহাখালী এবি ব্যাংক কর্পোরেট শাখার সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক এ এল এম বদিউজ্জামান এবং একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়া। এর মধ্যে মেহমদু আলমকে দ-বিধির পৃথক তিন ধারায় আলাদা করে সাজা দেওয়া হয়েছে। ৪০৯ ধারায় ৮ বছরের কারাদ-, ২ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া একই আইনের ৪৬৮ ধারায় চার বছরের কারাদ-, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। একই আইনের ৪৭১ ধারায় এক বছরের কারাদ-, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে?উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে মেহমুদকে আট বছরই জেল খাটতে হবে।

আবদুল মাজেদকে দ-বিধির ৫(২) ধারায় সাত বছরের কারাদ-, ১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে। বদিউজ্জামান এবং ফারুক ভূঁইয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- ও ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।

৩ কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী। ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি আদালতে তিনিই অভিযোগপত্র দেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। অভিযোগপত্রভুক্ত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দিল আদালত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর