ঘরের ভিতরেই একপাশে গোডাউনের মতো বদ্ধ জায়গা। স্যাঁতসেঁতে নোংরা পরিবেশে সেখানে কিছু যন্ত্রপাতির সাহায্যে কেমিক্যাল, চালের গুঁড়া, চিনি ও রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুখাদ্য হরলিক্স। এখানে প্যাকেটজাত ও ‘হরলিক্স’ স্টিকার লাগিয়ে তা পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। এ ছাড়া কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়া রং, ফ্লেবার, সাবুদানা দিয়ে এখানে তৈরি হচ্ছে মিষ্টি জাতীয় জেলি। কয়েকটি মাঝারি আকারের ড্রামে এসব ক্ষতিকর খাদ্য মজুদ রাখা হয়েছে। গতকাল নগরীর খালিশপুর বাস্তুহারা কলোনি এলাকায় অভিযানে অনুমোদনহীন এ কারখানার সন্ধান পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ভেজাল খাদ্য তৈরির অভিযোগে কারখানা মালিক শারমীন বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জব্দকৃত ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিনষ্ট করা হয়। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নগরীর দৌলতপুর ও খালিশপুর এলাকায় ভেজাল হরলিক্স, চকলেট, বিস্কুট চানাচুর, চাটনি, আইসক্রিমসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারি খাদ্যদ্রব্য তৈরি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বাজারে সরবরাহকৃত খাদ্য সামগ্রী যেসব বেকারিতে তৈরি হচ্ছে তার বেশির ভাগের বৈধ লাইসেন্স ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই।
স্যাঁতসেঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ ময়দার পরিবর্তে নিম্নমানের আটা ও বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাহমিদুল ইসলাম জানান, বাস্তুÍহারা কলোনি এলাকায় অভিযানে নকল হরলিক্স জেলি ইত্যাদি তৈরির প্রমাণ মিলেছে। অনুমোদন ছাড়াই বাসাবাড়িতে খাদ্যদ্রব্য তৈরি এবং বাজারজাত করার প্রমাণও পাওয়া যায়। অভিযানে জব্দ করা মালামাল বিনষ্ট করা হয়েছে। একই সঙ্গে কারখানা মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, ভেজালমুক্ত এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যমান নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।