মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ইউএনওদের ওপর ক্ষোভ উপজেলা চেয়ারম্যানদের

রাজশাহীতে বিভাগীয় সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ঠিকাদারি থেকে শুরু করে সরকারি সব সহায়তায়ই ভাগ বসাচ্ছেন ইউএনওরা। তাদের ক্ষমতার দাপটের কাছে জিম্মি উপজেলা চেয়ারম্যানরা। এমন অভিযোগ খোদ সরকারদলীয় চেয়ারম্যানদেরই। তারা বলছেন, এমপিদের খবরদারির কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন হলেও মূলত সেখানে বক্তাদের ভাষণে নানা ক্ষোভ আর বঞ্চনার কথাই উঠে আসে। গত ২৬ নভেম্বর রাজশাহীর শিল্পকলা মিলনায়তনে এ সম্মেলনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা বক্তৃতা করেন। তাদের অভিযোগ, ইউএনওরা এখন ভাগ বসাচ্ছেন ঠিকাদারিসহ বিভিন্ন প্রকল্পে। তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু অনেকে এখন ঠিকাদারে পরিণত হয়েছেন। ঘোড়াঘাটের ইউএনওর বাড়িতে যে ৪০ লাখ টাকা পাওয়া গেল তা কী হলো? তিনি তো এখনো বহাল তবিয়তে। বরং সারা দেশের ইউএনওদের গানম্যান দেওয়া হয়েছে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম আকন্দ বলেন, ‘আমার সই না হলে ইউএনওদের ভুয়া প্রজেক্টের একটা চেকও সই হবে না। আমি জানিই না এমন কাজের দায়িত্ব অন্য কর্মকর্তাদের দিয়ে করাচ্ছেন ইউএনও। ইউএনওদের ক্ষমতার দাপটে সাধারণ মানুষও অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ চেয়ারম্যানদের। বগুড়ার গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান বলেন, ইউএনওরা সাধারণ মানুষের সঙ্গেও অসহনীয় দাপট দেখিয়ে চলেছেন। এমপিদের সঙ্গে চেয়ারম্যানদের দ্বন্দ্ব বাধিয়ে দলে বিভাজন সৃষ্টির পেছনে প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা দায়ী বলে জানান তারা। রাজশাহী বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু বলেন, ‘তারা (ইউএনও) আজ যে জায়গায় এসেছেন, সেটা আমাদের বিভাজন করার চেষ্টা করেই আসা। এমপি সাহেবের বাড়িতে গিয়ে বলেন, স্যার উপজেলা চেয়ারম্যানরা যে বিষয়টা নিয়ে আন্দোলন করছেন, এটি করলে আপনি তো বসারই জায়গা পাবেন না।’ চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানদের দ্বন্দ্বের বিষয়টিও স্পষ্ট হয় বিভাগীয় এ সভায়।

 নাটোর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল সাকিব ও বগুড়া সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া খাতুন বলেন, শুধু চেয়ারম্যানদের বিষয় নিয়ে কথা বললে হবে না। পুরুষ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে সমন্বয়ের যে অভাব আছে, সেটিও ঠিক করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর