বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম বন্দরে দুই হাজার শূন্যপদ

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে দুই হাজার শূন্যপদ

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাড়ছে দিন দিন। ফলে কনটেইনার হ্যান্ডলিংসহ নানাবিধ কার্যক্রম বেড়েই চলেছে। কিন্তু দেশের প্রধান রাজস্ব জোগানদানের এ প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় লোকবলের সংকট রয়েছে। বন্দরে অনুমোদিত পদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার শূন্য রয়েছে। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হয় নিয়মিত। লোকবল নিয়োগে বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে তা ভেস্তে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরে মোট অনুমোদিত পদ ৮ হাজার ৬৮০টি। এর মধ্যে শূন্য ২ হাজারের মতো। তবে শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া সব সময় চলমান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বন্দরের দাফতরিক থেকে কায়িক শ্রমের কাজে প্রায় ৬ হাজার লোকবল রয়েছে। এর বাইরে আরও ১৫০ থেকে ২০০ জন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মরত আছে। তার পরও প্রতি বছর অনেক শ্রমিক অবসরে যাচ্ছেন এবং মৃত্যুবরণ করছেন। পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তাই শূন্যপদে লোকবল নিয়োগের বিষয়টি চলমান থাকে বছরজুড়েই।’

সূত্র জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। কনটেইনার হ্যান্ডলিং, জাহাজ হ্যান্ডলিং, খোলা পণ্য হ্যান্ডলিংসহ সব ধরনের কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার বহির্নোঙরে বাড়ছে জাহাজের হ্যান্ডলিং কার্যক্রমও। প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে এ বন্দরে। বছরে ৩০ লাখ টিইইউএসের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে। বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের প্রবৃদ্ধি সিঙ্গেল ডিজিট থাকলেও কি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট সংযোজন, ইয়ার্ড বৃদ্ধিসহ নানামুখী পদক্ষেপের ফলে প্রবৃদ্ধি ডবল ডিজিটে উন্নীত হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বছরে ৮ কোটি টনের বেশি পণ্য হ্যান্ডলিং হচ্ছে। ৩ হাজারের বেশি জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে গত অর্থবছর। চট্টগ্রাম বন্দরের খোলা পণ্য, কনটেইনার কিংবা জাহাজ হ্যান্ডলিং কার্যক্রম প্রতিদিন বৃদ্ধি পেলেও লোকবল সংকট বিরাজ করছে আগে থেকেই। কয়েক বছর ধরে চেষ্টা হচ্ছে লোকবল নিয়োগের। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না। কখনো আইনি, কখনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বিষয়টি বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এমনিতেই বন্দরে লোকবল সংকট রয়েছে। তার ওপর পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু হলে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে এ সংকট পূরণ করা না হলে তা আরও তীব্র আকার ধারণ করবে। বাড়তি চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হবে। বন্দরে মোট অনুমোদিত পদ ৮ হাজার ৬৮০টি। তা ছাড়া অনুমোদিত পদগুলো বিবেচনা করা হয়েছিল আরও তিন-চার বছর আগেই। তখন বন্দরের কার্যক্রম বর্তমানের অবস্থায় ছিল না। বর্তমানে বন্দরের কার্যক্রম ধারণার চেয়েও বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম বেসরকারি খাতে দেওয়া হলেও মূল কার্যক্রমে লোকবলের ঘাটতি দিন দিন প্রকট হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর