রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করা বিএনপির চিরাচরিত নিয়ম : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করা বিএনপির চিরাচরিত নিয়ম : তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করাটা বিএনপির চিরাচরিত নিয়ম। যে কোনো নির্বাচন এলে বিএনপি তাদের অভিযোগের বাক্স খুলে বসে। তাই নির্বাচন এলে অভিযোগের বাক্স খুলে বসা বিএনপির অভ্যাসগত স্বভাব। গতকাল নগরের পোর্ট কানেক্টিং সড়কের কাজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের প্রার্থী, এজেন্ট ও দলীয় নেতা-কর্মীদের বাসায় গিয়ে পুলিশ হয়রানি করছে এবং সরকারি দল প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে। এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। দেশের জনগণ এসব বোঝে এবং জানে। দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। ইভিএমে অন্য নির্বাচনগুলো যেমন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে, এখানেও সেভাবে নির্বাচন হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তানের টেলিভিশনে টক শোতে আলোচনা হয়, ‘আমাদের দয়া করে একজন শেখ হাসিনা দাও, আমাদের দেশকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।’ আর ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে ব্যাপক আলোচনা হয়, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জিডিপি গ্রোথ রেটের ক্ষেত্রে এবং মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এর পরও দেশে একটি পক্ষ কখনো প্রশংসা করতে পারে না। প্রতিদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের দলের অন্য নেতারা এবং কিছু বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করতে পারেন না। তাদের বুদ্ধি আছে, কিন্তু আমাদের সরকার সম্পর্কে বলার সময় তাদের বুদ্ধি কেন লোপ পায় তা বুঝতে পারি না। তারা যেভাবে কথা বলেন, দেশে যে এত উন্নয়ন হয়েছে তা তারা দেখতে পান না, চোখ থাকতেও তারা অন্ধ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে পুরো দেশের উন্নয়ন। সে কারণে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় চট্টগ্রামের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এক বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রকল্প চলমান আছে। আউটার রিং রোড হয়েছে। এই আউটার রিং রোডের সঙ্গে কানেক্টিং কিছু রোডের প্রয়োজন। বিদ্যমান প্রকল্পের পাশাপাশি সিডিএ নতুন প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে, যাতে আউটার রিং রোডের সঙ্গে অন্তত তিনটি রাস্তা দিয়ে মূল শহরের সংযোগটা হয়। এ ছাড়া কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা আশা করছি আগামী বছর কর্ণফুলী টানেল আমরা চালু করতে পারব। চট্টগ্রামে বে-টার্মিনালের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। এটি নির্মিত হলে প্রকৃতপক্ষে আরেকটি নতুন চট্টগ্রাম বন্দর হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর