বাংলাদেশ ন্যাশনাল এলায়েন্স (বিএনএ) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যৌথ প্রয়াসেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত হতে পারে। আইনের শাসনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হতে পারে। প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি। ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে শক্তিশালী বিরোধী দল নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ’-সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতি তার বলিষ্ঠ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এর মাধ্যমে একদলীয় শাসনের যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলের সাবেক এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে উপহাস না করে বরং জনসমর্থনপুষ্ট দল বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়াস গ্রহণ করা উচিত। এ জন্য বিএনপির তৃণমূল পর্যায় থেকে নিয়ে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অর্থাৎ ওয়ার্ড কমিটি থেকে নিয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটি পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা জরুরি। উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া কমিটি যেন না হয়। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা, জেলা ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে সম্মেলনের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিত দলীয় প্রতিনিধিরাই নেতৃত্ব দিতে পারে।
বিএনপির উদ্দেশে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, সময় এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে এর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা। এই সুযোগে বিএনপিকে একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর আশাআকাক্সক্ষার প্রতিফলন করা উচিত।