শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের ১০ ব্যক্তির সিন্ডিকেটসহ বিশে^র সব দেশের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সিন্ডিকেট ভেঙে সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট বায়রা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ড. মোহাম্মদ ফারুক। আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান টেলিভিশনের কর্ণধার হারুন-অর-রশিদ, গোলাম ফারুক, রেদওয়ান খান বোরহান, মোস্তফা মাহমুদ, সিরাজ মিয়া প্রমুখ। বক্তারা বলেন, দেশে ১ হাজার ২০০ এজেন্সি থাকলেও মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সরকারকে ১৮ লাখ টাকা করে লাইসেন্স ফি দিলেও কাজ করতে পারে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান। ড. মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এ সিন্ডিকেট বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে শ্রমবাজার নষ্ট করেছে। ২০১৬ সালে ১৫ লাখ জনশক্তি রপ্তানির কথা থাকলেও ২ লাখ ৭৪ হাজার জনশক্তি পাঠিয়েছে। কিন্তু ১২ লাখ লোকের মেডিকেল করেছিল। মেডিকেলও করা হয়েছিল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয়। এ ছাড়া সিন্ডিকেটের কারণে জনপ্রতি বিদেশ যাওয়ার খরচও বেশি পড়েছিল। বর্তমানে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ। এ সিন্ডিকেট আবারও তৎপরতা শুরু করেছে যেন শ্রমবাজার খোলা হলে আবারও তারা সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ফায়দা লুটতে পারে।

হারুন-অর-রশিদ বলেন, ১ হাজার ২০০ এজেন্সি সরকারকে ১৮ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা করছে। অথচ কাউকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি শ্রমবাজারের এ সিন্ডিকেট ভাঙবে এবং আগামীতে সব এজেন্সি কাজ করার সুযোগ পাবে।

রেদওয়ান খান বোরহান বলেন, লাইসেন্সের কোনো শ্রেণিবিন্যাস নেই। অথচ কাউকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন এ সিন্ডিকেট ভেঙে সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হোক।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর