বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

চসিক নির্বাচন বাতিল চেয়ে ডা. শাহাদাতের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বাতিল এবং পুনর্নির্বাচনের দাবি করে আদালতে মামলা করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। গতকাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা জজ খায়রুল আমিনের আদালতে মামলাটি দায়ের হয়। মামলায় আসামি করা হয় চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, নির্বাচন কমিশন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচনের অন্য পাঁচ মেয়র প্রার্থীকে।

মামলার বিষয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘মামলার কপি আমরা হাতে পাইনি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব না। তবে মামলার বিষয়টা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার মহসিন বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আইন এবং নির্বাচনী বিধিমালার ৫৩ বিধির ২ নম্বর উপবিধি অনুযায়ী মামলাটি হয়েছে। আদালত মামলটি নথিভুক্ত করেছে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে এসআর (সমন) জারি করেছে।’

মামলা দায়েরের পর ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চসিক নির্বাচনে ৪ হাজার ৮৮৫টি বুথে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হলেও মাত্র ২০টি কেন্দ্রে মেশিনে প্রিন্টেড ফলাফল দিয়েছে। বাকি ৪ হাজার ৬৬৫টি বুথে হাতে লেখা ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ২২টি কেন্দ্রে শূন্য ভোট এবং ১৭৮টি কেন্দ্রে ১০টির কম ভোট দেখিয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবাস্তব। এসবের প্রতিকার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। আমি চাই প্রহসনমূলক এ নির্বাচন বাতিল করে ফের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হোক।’

দায়ের হওয়া মামলার অভিযোগে বলা হয়, বহুল বিতর্কিত ইভিএমে চসিক নির্বাচনে সনাতন পদ্ধতির চেয়েও বেশি সময় লেগেছে। কোনো কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোটের হার দেখানো হয়েছে ১ শতাংশ আবার কোনো কেন্দ্রে ৯৪ শতাংশ। একই ভবনে দুটি কেন্দ্রে একটিতে ৮৪ শতাংশ, অন্যটিতে ১.৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু ভোটের হিসাব দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ভোট পেয়েছেন। কিন্তু তাকে আরও সাড়ে ৩ লাখ ভোট যোগ করে মেয়র বানানো হয়েছে। বাদী মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন চসিক নির্বাচনের ভোটের হিসাব চেয়ে এখনো পাননি। কোনো কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেওয়া হয়নি। নির্বাচনে বাদীকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২৭ জানুয়ারি বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় চসিক নির্বাচন। এতে প্রায় ৩ লাখ ভোটে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর