শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজধানীতে চোরাই অটোরিকশার ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুয়া ডিজিটাল নম্বর প্লেটে চলত চোরাই সিএনজিচালিত অটোরিকশার কারবার। এসব অটোরিকশা কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চুরি করে ঢাকায় আনা হতো। নতুন রং লাগানোর পর ভুয়া ডিজিটাল নম্বর প্লেট ও কাগজপত্র বানিয়ে বিক্রি হতো ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নিজস্ব গ্যারেজে বসেই এভাবে চোরাই সিএনজির কারবার চালিয়ে আসছিলেন শাহ আলম। ৩ মার্চ সকালে গোপন তথ্যে ধোলাইপাড়ে তার ওই গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

তবে চক্রের হোতা শাহ আলম পলাতক। গ্রেফতার দুজন হলেন সিএনজিচালক আরেক শাহ আলম ও টেকনিশিয়ান জামাল। গতকাল মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, চক্রটি অবৈধভাবে লাভের আশায় চোরাই সিএনজি অটোরিকশার ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেট ও কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি করে আসছিল। যাত্রাবাড়ীতে শাহ আলমের গ্যারেজে চোরাই সিএনজিগুলো বিক্রি হয়। সেখানে চোরাই সিএনজি আনার পর তা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়। ওই গ্যারেজ থেকে আমরা পাঁচটি সিএনজি জব্দ করেছি। এগুলো কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চক্রটি সংগ্রহ করেছে। এসব এলাকা থেকে চোরাই সিএনজি প্রথমে কাঁচপুর আসে। সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় শাহ আলমের গ্যারেজে। শেখ ওমর ফারুক বলেন, গ্যারেজে আনার পর ভুয়া নম্বর প্লেট দেওয়া হয়। এরপর রং করে বিক্রি করা হয়। শাহ আলম দুই মাসে ১৫ থেকে ২০টি চোরাই সিএনজি এনে বিক্রি করেছেন। এসব চোরাই সিএনজিতে যে নম্বর প্লেট আছে সেগুলো বিআরটিএর নয়। এ ছাড়া এসব সিএনজির সব কাগজপত্র ভুয়া। একটি থ্রি-হুইলার সিএনজির দাম ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা। আর ভুয়া নম্বর প্লেটের সিএনজি দিয়ে ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করা সহজ। চক্রটি কীভাবে এ ভুয়া ডিজিটাল নম্বর প্লেট তৈরি করত তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর