‘সুরক্ষিত’ চট্টগ্রাম কারাগার হয়ে পড়েছে অরক্ষিত। ভঙ্গুর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অরক্ষিত সীমানা প্রাচীর এবং কঠোর নজরদারির অভাবে কারাগারের ভিতর বাইরে ঘটছে একের পর এক ঘটনা। এতে বার বার প্রশ্ন উঠছে কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। যদিও কারা কর্তৃপক্ষ লোকবল সংকটের কারণেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারার কথাই জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বন্দি পলায়নের ঘটনার পর গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থার যদি ঘাটতি থাকে তা তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকবে। তদন্ত কমিটি কিছু সুপারিশও করবেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তাদের কোনো সুপারিশ থাকলেও যে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চট্টগ্রাম কারাগারের সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে লোকবল। কারাগারে ৩৫১ জন কারারক্ষী থাকলেও তার মধ্যে প্রায় ১০০ জন থাকেন মেডিকেল ডিউটি ও অন্যান্য ছুটিতে। বাকি ২০০ জনকে দিয়ে পাঁচ শিফটে ডিউটি করাতে হয়। যা ৯ হাজার বন্দির নজরদারি ও কারাগারের নিরাপত্তার জন্য খুবই নগণ্য। লোকবলের কারণে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা যাচ্ছে না। বার বার ঘটনা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কিছুই করার থাকছে না।’ জানা যায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৮৫৩ হলেও এখানে ৪২টি সেলে গড়ে সাড়ে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার বন্দি থাকেন। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হচ্ছে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং ভয়ঙ্কর জঙ্গী। অথচ এসব ভয়ঙ্কর অপরাধীদের নজরদারি এবং কারাগারের নিরাপত্তায় দায়িত্ব রয়েছে সীমিত সংখ্যক কারারক্ষী ও নিরাপত্তা সদস্য। তার উপর যুক্ত হয়েছে কারাগারের সীমানা প্রাচীর লাগোয়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। বন্দিদের রাখার জন্য পাঁচ তলা বিশিষ্ট যমুনা ভবনের পেছনের সীমানা প্রাচীর থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ নড়বড়ে। পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও তাতে রয়েছে বড় বড় ছিদ্র। এছাড়া ওই সামীনা প্রাচীর দিয়ে যে কেউ পারাপার করতে পারবে সহজে। এছাড়া দক্ষিণ পাশের কাঁটাতারের ফাঁক দিয়ে আসা যাওয়া করা যায় সহজে। তার উপর সীমানা প্রাচীরের কাছাকাছি তৈরি করা হচ্ছে নতুন আরেকটা ভবন। ওই ভবন থেকে পালিয়ে যে কেউ পালাতে পারে যে কোনো সময়। সর্বশেষ নির্মাণাধীন ওই ভবন থেকেই হত্যা মামলার আসামি রুবেল পালিয়ে যায়। শুধু রুবেল নয় এর আগে ২০১২ সালে এবং ২০১৫ সালে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আরও দুই জন বন্দি। ২০১১ সালে দুই কয়েদি টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শুধু পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা নয়, নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে খুনেরও ঘটনা ঘটে। ২০১৯ সালের ২৯ মে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে খুন হন রেলের দরপত্র নিয়ে জোড়া খুনসহ অন্তত ১৭টি মামলা আসামি অমিত মুহুরী।
শিরোনাম
- বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
- নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
- সরাইলে দক্ষ সমবায়ী গঠনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ
- সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা খুন: ছেলে ৩ দিনের রিমান্ডে
- সত্যিই কি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে চীন ও পাকিস্তান?
- বরিশালে গ্রাম আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ৯০ শতাংশ
- বিজয় হত্যা মামলা: সাবেক এমপি মিল্লাতসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
- গাইবান্ধায় বিএনপির উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী প্রচারণা
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১২৬২
- মেহেরপুরে সদর উপজেলার উদ্যোগে বাইসাইকেল ও হুইলচেয়ার বিতরণ
- কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করা ভুল ছিল: জর্জ ক্লুনি
- এআই পাওয়ারহাউস হবে সৌদি আরব, ১ ট্রিলিয়ন ডলারে বানাচ্ছে ডেটা সেন্টার
- দিনাজপুরে দ্বিতীয় দিনেও সড়ক বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
- স্পেনের অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিচার শুরু
- নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে মাঠ কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি সভার নির্দেশ ইসির
- বাজুসের নতুন প্রেসিডেন্ট এনামুল হক খান
- কুমিল্লায় গাঁজার প্যাকেটে মিলল ২ ভারতীয় পিস্তল
- ভেনেজুয়েলায় যুদ্ধে জড়াচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র, তবে মাদুরোর দিন শেষ: ট্রাম্প
- রাশিয়ার সহায়তায় নতুন আটটি পারমাণু স্থাপনা নির্মাণ করছে ইরান
- ঝিনাইদহে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
চট্টগ্রাম কারাগারে একের পর এক ঘটনার নেপথ্যে
লোকবল সংকটই মূল কারণ, দাবি কারা কর্তৃপক্ষের
মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর