‘শখের হাঁড়ি’ শৈল্পিক কারুকার্যমণ্ডিত পাত্র। এই হাঁড়ি তৈরি পুরোটাই হাতে। মনের মাধুরী মেশানো কারুকার্য, দেখলে যে কারও মন ছুঁয়ে যাবে সহজেই। এমন ‘শখের হাঁড়ি’র স্বীকৃতির জন্য এ বছরের মার্চ মাসে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) কাছে আবেদন করেছে বাংলা একাডেমি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। স্বীকৃতি পেতে আবেদনে বাংলা একাডেমি বলেছে, রাজশাহী অঞ্চলের বাসিন্দারা ঘরে শৌখিন সামগ্রী সংরক্ষণ এবং উৎসবে বিশেষ ধরনের শখের হাঁড়ি তৈরি করে। মূলত কৃষি প্রধান ওই অঞ্চলের বড় বড় হাটে বিভিন্ন ধরনের শৈল্পিক কারুকার্যমণ্ডিত পাত্র বিক্রি হয়। দুই যুগ আগেও রাজশাহী অঞ্চলের সাড়ে চার হাজার পরিবার এ হাঁড়ি তৈরি করত। এখন হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার মেলা উপলক্ষে তা করে থাকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন ঘর সাজাতে কত সব জমকালো জিনিস পাওয়া যায় বাজারে। কিন্তু গত শতকেও গ্রামীণ বাংলায় ঘর সাজানোর সম্বল ছিল ‘শখের হাঁড়ি’। গ্রামীণ গৃহিণীদের ঘরের সাজ-সজ্জার কাজে ব্যবহার হতো শখের হাঁড়ি। এখন নানা রং-নকশার তৈরি মাটির সেই হাঁড়ির প্রচলন উঠে গেছে বললেই চলে।