রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

চসিকের ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে রোগী মাত্র পাঁচজন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিকের ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে রোগী মাত্র পাঁচজন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারটি ৫০ শয্যার। কিন্তু সেখানে গতকাল রোগী ভর্তি ছিল মাত্র পাঁচজন। চালুর ১৮ দিনে এ সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন মাত্র ২২ জন। অথচ এখানে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। কিন্তু একই সময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর ভিড় লক্ষণীয়। চট্টগ্রামে প্রতিদিনই গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে চসিক বলছে, আক্রান্তরা চিকিৎসকের পরামর্শে  বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাই আইসোলেশন সেন্টারে রোগীর সংখ্যা কম। জানা যায়, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেওয়ার পর নগরীর লালদীঘির দক্ষিণ পাড়ে চসিক পাবলিক লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের দ্বিতীয়-তৃৃতীয় তলায় ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার চালু করা হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয় তলায় ৩৫ শয্যা পুরুষ ও তৃতীয় তলায় ১৫ শয্যা মহিলা রোগীর জন্য বরাদ্দ। সেন্টারে দায়িত্ব পালন করছেন ১১ জন মেডিকেল অফিসার, ৮ জন ফার্মাসিস্ট, ৪ জন প্যারামেডিক, ৩ জন ওয়ার্ড মাস্টার, ৬ জন ওয়ার্ড বয়, একজন স্টোর কিপার ও একজন অফিস সহায়ক। আইসোলেশন সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ডা. মো. মুজিবুল আলম চৌধুরী বলেন, সেন্টারটি চালু হয়েছে মাত্র ১৮ দিন হলো। এটির খবর এখনো সবার কাছে ভালোভাবে পৌঁছেনি। তাছাড়া অধিকাংশ রোগীই উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তাই হয়তো এখানে রোগী কম। তিনি বলেন, চালুর পর গতকাল পর্যন্ত ২২ জন সেবা গ্রহণ করেছে, বর্তমানে পাঁচজন রোগী ভর্তি আছে। ভর্তি থাকা রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ ও অক্সিজেন সেবা দেওয়া হচ্ছে। সেবা গ্রহণকারীরা যাওয়ার সময় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমরা চেষ্টা করি রোগীদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় সেবা দিতে। জানা যায়, গত বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ১৩ জুন নগরীর আগ্রাবাদ অ্যাকসেস রোডে ২৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছিল চসিক। পরে ১৪ আগস্ট সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই মাসে এ সেন্টারে অন্তর্বিভাগে সেবা নেন ১২৯ জন ও বহির্বিভাগে সেবা নেন ৩০ জন।

তবে আইসোলেশন সেন্টার পরিচালনায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিলেন চসিকের তৎকালীন প্রশাসক। গত বছরের ৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে।  

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮১০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৯ জন। এর মধ্যে নগরে ২০৯ জন ও উপজেলায় ৭০ জন। গত শুক্রবার এক দিনে মারা যান ৪ জন। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৮ হাজার ৭১৬ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৩৯ হাজার ১০০ এবং উপজেলায় ৯ হাজার ৬১৬  জন। ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৪৮৬ জন। এর মধ্যে নগরে ৩৬২ জন ও উপজেলায় ১২৪ জন।

সর্বশেষ খবর