বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে মৃত্যু-সংক্রমণে ‘হটস্পট’ মহানগর

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে মৃত্যু-সংক্রমণে ‘হটস্পট’ মহানগর

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যায় হটস্পট হয়ে আছে মহানগর। গত বছরের ৪ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু-সংক্রমণে উপজেলার তুলনায় মহানগরে কয়েকগুণ বেশি। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মহানগরে আক্রান্তের হার ৮০ দশমিক ১০ শতাংশ এবং উপজেলায় ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। তা ছাড়া নগরে মৃত্যুর হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং উপজেলায় ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। 

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল একদিনে চট্টগ্রামে নতুন করে আক্রান্ত হয় ১৪২ জন। এর মধ্যে মহানগরে ১১৩ জন ও উপজেলায় ২৯। গত বুধবার পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয় ৫০ হাজার ৪৭৮ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৪০ হাজার ৪৩৬ জন, ৮০ দশমিক ১০ শতাংশ এবং উপজেলায় ১০ হাজার ৪২ জন, ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।

ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৫৪০ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৪০০ জন, ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং উপজেলায় ১৪০ জন, ২৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। তা ছাড়া নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রেও নগরের চেয়ে উপজেলায় কম। ইতিমধ্যে মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭০৫ জনের। এর মধ্যে মহানগরে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৩৮টি, ৯০ দশমিক ১৬ শতাংশ ও উপজেলায় ৪৩ হাজার ৩৭টি, ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭ হাজার ৩৩৩ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৬ হাজার ৬২৯ জন এবং উপজেলায় ৭৩৪ জন। ফলে আক্রান্ত, মৃত্যু, নমুনা পরীক্ষা এবং চিকিৎসা- সব ক্ষেত্রে উপজেলার তুলনায় নগরে বেশি।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, গত বছরের ৪ এপ্রিল থেকেই সংক্রমণ ও মৃত্যুতে উপজেলার তুলনায় নগরে অনেক বেশি। এর নানা কারণ থাকতে পারে। উপজেলার চেয়ে নগরে ঘনবসতি। গ্রাম পর্যায়ে বিস্তৃত এলাকায় মানুষ বসবাস করে। ফলে পরস্পরের মধ্যে সামাজিক দূরত্বটা বেশি থাকে। তা ছাড়া গ্রামের মানুষ তুলনামূলক পরিশ্রমী এবং দীর্ঘ সময় ধরে রোদে কাজ করেন। ফলে সংক্রমণটা কম।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব বলেন, শহরে আক্রান্ত হওয়ার নানা সমীকরণ থাকে। তবে বেশি প্রভাব ফেলে ঘনবসতির বিষয়টি। তাছাড়া শহরের মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রবণতা কম। ফলে শহরের মানুষ আক্রান্ত বেশি হচ্ছে।   

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে করোনা রোগীর চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা আছে মোট ৯৫০টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আছে ৭৬৩টি। গত বুধবার সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ১৮৭ জন, শয্যা শূন্য ছিল ৭৬৩টি এবং বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি ছিল ৪২২ জন, শয্যা খালি ছিল ২২৮টি। বর্তমানে সরকারি হাপসাতালে হাইফ্লো ন্যাজল ক্যানুলা আছে ৪৭টি, বেসরকারি হাসপাতালসমূহে আছে ৫৫টি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর