শিরোনাম
সোমবার, ৩১ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

রেকর্ড দামে হালদার রেণু বিক্রি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র থেকে এবার ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে গতবারের এক-চতুর্থাংশ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ত পানিতে ডিম নষ্ট হওয়া। তাছাড়া প্রক্রিয়াকরণকৃত হ্যাচারি সংলগ্ন পুকুর বা গভীর নলকূপ না থাকায় সংকট ছিল মিঠা পানির। ফলে ডিম থেকে আশানুরূপ রেণু প্রস্ফুটিত করা যায়নি। তবে এবার ডিম কম পাওয়া গেলেও বেড়েছে রেণুর দাম। রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হচ্ছে হালদার রেণু। এবার প্রতিকেজি রেণু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২০ থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত। গত বছর সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। তাই দাম নিয়ে আশাবাদী ডিম সংগ্রহকারীরা। গতকাল ও আজ হালদার পোনা বিক্রি হবে। তবে দুটি হ্যাচারিতে লবণাক্ত পানিতে ডিম নষ্ট হওয়ায় অনেক ডিম সংগ্রহকারী ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছেন। জানা যায়, হালদা নদীতে বৃহস্পতিবার সর্বসাকুল্যে ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ কেজি। ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর বলেন, এবার ডিম কম পাওয়া গেছে। যা পাওয়া গেছে গতকাল থেকে বিক্রি শুরু হয়। প্রতিকেজি রেণু ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘সাধারণ রেণুর চেয়ে হালদা নদীর রেণুর গুণগত মান অনেক বেশি।

তাই মৎস্য চাষিদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে হালদার রেণু।  তাছাড়া অত্যধিক প্রচারণা এবং মৎস্য চাষিদের সচেতনতার কারণে এখন আর হালদার রেণু ভেজাল করার কোনো সুযোগ নেই। তাই এবার কম পাওয়া গেলেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে। 

হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, গত দুই দিনে ডিম সংগ্রহকারীরা প্রক্রিয়ার পর রেণু বিক্রি করেছেন। তবে কত রেণু বিক্রি হয়েছে তা এখনো নির্ণয় করা হয়নি।  

জানা যায়, গত বুধবার রাতে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। এরপর হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার সরকারি-বেসরকারি পাঁচটি হ্যাচারিতে ডিম থেকে রেণু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর মধ্যে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট ও মাছুয়াঘোনা হ্যাচারি, রাউজানের মোবারকখীল হ্যাচারি এবং বেসরকারি সংস্থা আইডিএফের রাউজানের পশ্চিম বিনাজুরী হ্যাচারি। এসব হ্যাচারিতে উৎসাহ-উদ্দীপনায় রেণু ফোটাতে ব্যস্ত ডিম সংগ্রহকারীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর