সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ছাত্র অধিকার পরিষদে দ্বন্দ্বের অবসান

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনকে দেওয়া সাময়িক অব্যাহতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে জানিয়েছেন নূর। এর আগে, গত শুক্রবার নুরুল হক নূর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনকে সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই দিন বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের যৌথ সভায় অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ওই বৈঠকে ছাত্র অধিকার পরিষদের কাউন্সিলের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন এবং বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ২১ সদস্যের ডিসিপ্লিনারি বোর্ডও গঠন করা হয়। এসবের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়েই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন নুরুল হক নূর। অপরদিকে রবিবার রাশেদ খান কারণ দর্শানোর পাল্টা নোটিস দেন নূরের বিরুদ্ধে। এতে উল্লেখ করা হয়েছিল- ‘সমন্বয়ক’ পদ ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণাকারীর বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানাতে বলা হয়। তবে এ নিয়ে আলোচনায় বসে নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাশেদ খান। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে রাশেদ বলেন, আমরা বয়সে তরুণ। এ কারণে মাঝে মধ্যে বক্তব্য, কথা ও কাজে ভুল করে বসি। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সুন্দর সমাধান হয়েছে। পোস্টে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের সঙ্গে নিজের ছবি দেন রাশেদ।

 ভবিষ্যতে চলার পথে আরও সতর্ক থাকার কথাও বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল হক নূর বলেন, আসলে আমাদের মধ্যে গুরুতর কোনো সমস্যা হয়নি। একটি সিদ্ধান্ত তার (রাশেদ খানের) বিরুদ্ধে যাওয়ায় তিনি হয়তো ব্যক্তিগত রাগ-ক্ষোভ থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যেহেতু সংগঠনের একজন ত্যাগী নেতা, তাই আলোচনায় সবার মতামতের ভিত্তিতে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তার সাময়িক অব্যাহতিও তুলে নেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর