বিয়ের কথা বলে কিশোরগঞ্জের এক গৃহবধূকে (২৫) সিলেটে এনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নয়জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তরা হলেন সিলেট বিমানবন্দর থানার লাউগুল গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে জামেদ আহমদ জাবেদ, ফড়িংউরা গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে ফয়সল আহমদ, বাজারতল গ্রামের ইসরা হালিমের ছেলে রাসেল আহমদ, ফড়িংউরা গ্রামের মুজিবুরের ছেলে রুবেল, কামাল উদ্দিনের ছেলে ইমাম, ইশরাক আলীর ছেলে ফারুক, মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মোশাহিদ আহমদ ও জামালের ছেলে আবুল এবং জৈন্তাপুর উপজেলার শুক্কুরের বাজার এলাকার জামিল আহমদ ।
এদের মধ্যে জাবেদ, ফয়সল, রাসেল ও মোশাহিদ গ্রেফতার হয়েছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, মোবাইল ফোনে রং নম্বরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় জামেদ আহমদ জাবেদের। শুরুতে ওই নারী জাবেদের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরে জাবেদ নানাভাবে ফুসলিয়ে তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন এবং তার দুই সন্তানকে নিজের সন্তান হিসেবে লালনপালনের কথা বলেন। এতে রাজি হয়ে ১০ জুলাই ওই নারী সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বরে আসেন। সেখানে থেকে জাবেদ বিমানবন্দর থানার খাদিমনগর ইউনিয়নের বুরজান চা-বাগানের মরাকোনা টিলার ওপর একটি ছাউনিতে নিয়ে যান তাকে। সেখানে ওই নারীকে ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) পর্যন্ত আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন জাবেদ, ফয়সল, রাসেল ও জামিল। মঙ্গলবার সকালে তাদের সহযোগী রুবেল, ইমাম, ফারুক, মোশাহিদ ও আবুল সেখানে গিয়ে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।তিনি আরও জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর মোশাহিদকে সেখানে পাহারায় রাখা হয়। তাকে খাবার পানি আনতে বলে মঙ্গলবার দুপুরে কৌশলে সেখান থেকে পালান ওই নারী। এরপর নিজের খালাতো বোনকে ফোন করে ডেকে এনে বিমানবন্দর থানায় গিয়ে ঘটনার কথা জানান। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জাবেদ ও মোশাহিদকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয় ফয়সল ও রাসেলকে।
পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, ভিকটিম আজ (বুধবার) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।