শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামের টিকাদান কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা-অব্যবস্থাপনা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের টিকাদান কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা-অব্যবস্থাপনা

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাইয়ুম। করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে লাইন ধরে অপেক্ষা করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর টিকা বুথের কাছাকাছি আসেন। এ সময় তার কাছ থেকে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীরা মোবাইলে স্ক্যান করে তার দিনক্ষণও চূড়ান্ত করেন। কিন্তু টিকা দেওয়ার আগ মুহূর্তেই ৩০৮ নম্বর কক্ষের সামনে গেলে ভিতর থেকে বলা হয় টিকা শেষ। আজ আর দেওয়া হবে না। আবদুল কাইয়ুম অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দেড় ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করেছি। টিকা দেওয়ার আগ মুহূর্তে বলা হলো- টিকা নেই। এটি কেমন কথা। আমার পেছনে আরও অন্তত একশ মানুষ লাইনে ছিল। এভাবেই টিকা নিতে এসে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয় গ্রহীতাদের। হাজারও মানুষকে লাইনে ধরে অপেক্ষা করে টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।

রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাইন ধরার পর বলা হচ্ছে টিকা না পাওয়ার কথা। এ ছাড়া অব্যবস্থাপনা-বিশৃঙ্খলার কারণে মানুষকে হুড়োহুড়ি করে টিকা নিতে হচ্ছে। সম্পূর্ণ উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি। ফলে টিকা নিতে গিয়ে উল্টো করোনা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।   অভিযোগ আছে, জেনারেল হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে মাডার্নার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ এবং সিনোফার্মার টিকা। কিন্তু কোন কক্ষে কোন টিকা দেওয়া হচ্ছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য জানানোর মতো কেউ নেই। রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকলেও তারাও তথ্য দিতে নানাভাবে অবহেলা করছেন। মানুষের তুলনায় টিকা দেওয়ার বুথও কম। নেই কোনো শৃঙ্খলা। ফলে টিকা কেন্দ্রেগুলোর চরম অব্যবস্থাপনায় মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।  গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অবস্থান করে দেখা গেছে, পুরোই হযবরল অবস্থা। নিচ তলায় মহিলা, দ্বিতীয় তলায় পুরুষ এবং তৃতীয় তলায় মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হলেও কোথাও কোনো শৃঙ্খলা নেই। তিনটি ফ্লোরেই চলছে হৈহুল্লোড় অবস্থা। অভিন্ন চিত্র চসিক জেনারেল হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্র, বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা-হালিশহর এলাকার টিকা কেন্দ্র, বন্দরটিলা মাতৃসদন টিকা কেন্দ্রে। সব কেন্দ্রের সামনে শত শত মানুষ সমবেত। অপেক্ষায় আছেন হাজারও টিকাগ্রহীতা।  চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, একসঙ্গে অনেক মানুষ টিকা নিতে চলে আসা, দ্বিতীয় ডোজের মানুষ আসা, এসএমএস আসেনি- এমন মানুষেরও চলে আসা এবং আজ বৃহস্পতিবার থেকে প্রথম ডোজ বন্ধের ঘোষণাসহ নানা কারণে গতকাল মানুষ বেশি জড়ো হন। এত মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবও নয়। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি শৃঙ্খলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর