মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

মাছ চাষে শীর্ষে রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

মাছ চাষে শীর্ষে রাজশাহী

রাজশাহীর তাজা মাছের খ্যাতি দেশজুড়ে। ইতিমধ্যে মাছচাষে এগিয়ে রয়েছে রাজশাহী। আর নতুন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাজা মাছ সরবরাহেও প্রথম স্থানে এখন রাজশাহী বিভাগ। প্রতিদিন রাজশাহী জেলা থেকে ১৪০ থেকে ১৫০ ট্রাকে প্রায় ২ কোটি টাকার তাজা মাছ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন ফরমালিন মুক্ত মাছ পাচ্ছেন। রাজশাহীতেও নতুন করে তৈরি হচ্ছে বেকারদের কর্মসংস্থান। শনিবার থেকে মৎস্য সপ্তাহ শুরু হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহীর মাছচাষের সাফল্য তুলে ধরা হয়। রাজশাহী বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, তাজা মাছের বাইরে পাঠানোর উদ্যোগ প্রথমে রাজশাহী জেলা থেকে শুরু হয়। জেলার পুঠিয়া, পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, বাগমারা, তানোর এবং নাটোর জেলার সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রামের মাছ সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে ঢাকায়। রাজশাহী জেলা থেকে প্রতিদিন ১৫০ ট্রাকে তাজা মাছ যাচ্ছে। বর্তমানে জেলার ১২ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এখন মাছ চাষে। আর বছরে আয় হচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। রাজশাহীতে মোট পুকুর রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। যেখানে মৎস্য চাষি রয়েছেন ১৯ হাজার। আর মৎস্যজীবীদের মধ্যে নতুন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার বেকার যুবকের। জানা যায়, জেলায় বর্তমানে ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমির কয়েক হাজার পুকুরে প্রতি বছর ৮৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু রাজশাহীতে চাহিদা প্রায় ৫২ হাজার মেট্রিক টন। চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩২ হাজার মেট্রিক টন মাছ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। মৎস্য বিভাগ জানায়, করোনা সংকট কাটিয়ে মাছচাষে দেশের অন্যতম জেলা রাজশাহীর চাষিরা আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। করোনায় লকডাউন চলাকালীন বাজারে মাছের চাহিদা, সরবরাহ ও দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েন স্থানীয় মাছ চাষিরা। তবে লকডাউন তুলে নেওয়ার পর মাছের বাজার স্বাভাবিক হয়েছে। আগের তুলনায় ছোট-বড় সব ধরনের মাছের দাম কম হলেও বিক্রি হচ্ছে পুরোদমে। ফলে লোকসান কাটিয়ে মাছ চাষে সুদিনের আশা করছেন রাজশাহীর চাষিরা।

রাজশাহীর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অলক কুমার সাহা বলেন, খামারি, নার্সারি ও হ্যাচারি-তিনটি পর্যায়ে রাজশাহীতে মাছচাষ করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে মৎস্য খাতের তিনটি পর্যায়েই ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মাছের বাজার আরও স্বাভাবিক হলে চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।’

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর