শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

দুই ইস্যুতে অস্বস্তি সিলেট আওয়ামী লীগে

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

দুই ইস্যুতে অস্বস্তিতে পড়েছে সিলেট আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিদ্রোহ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মঙ্গলবার সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। সিলেট আওয়ামী লীগের আট নেতা ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। এর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে চারটি গ্রুপের মধ্যে জেলা ও মহানগর শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ ভাগাভাগি করে কমিটি দেওয়া হচ্ছে। এই চারটি গ্রুপ হচ্ছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল নিয়ন্ত্রিত দর্শনদেউড়ি গ্রুপ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন নিয়ন্ত্রিত তেলিহাওর গ্রুপ, মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ ও জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন টিলাগড় গ্রুপ এবং মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক বিধান কুমার সাহা নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীর গ্রুপ। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে কাউন্সিলর আজাদ ও অ্যাডভোকেট রণজিতের নিয়ন্ত্রণে টিলাগড় গ্রুপ বিভক্ত হয়ে গেছে। কমিটিতে বঞ্চিত হন টিলাগড় গ্রুপের আজাদ বলয়। চার গ্রুপের মধ্যে ভাগাভাগি হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ। ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিক্ষোভ ও কমিটির শীর্ষ পদপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝেও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইকবাল হোসেন এমাদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এর আগে উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই অভিযোগ ওঠার পর ইকবাল হোসেন এমাদ সংবাদ সম্মেলন করে শিবির সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার একই ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়নবঞ্চিত সাইফুল ইসলাম ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে এমাদের বিরুদ্ধে শিবিরের রাজনীতি করার বিস্তর প্রমাণ উপস্থাপন করেন। এই অবস্থায় এমাদকে নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

সর্বশেষ খবর