রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

‘নোনা জলের কাব্য’র পোস্টার উন্মোচন

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

লন্ডন, বুসান, গুটেনবার্গ, সাও পাওলো, তুরিন, সিয়াটেল, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের চলচ্চিত্র ‘নোনাজলের কাব্য’। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে ৮ নভেম্বর আইম্যাক্স থিয়েটারে প্রদর্শিত হবে এই চলচ্চিত্রটি। এই সম্মেলনে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা অংশগ্রহণ করবেন। থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এ ছাড়াও একই শহরে জাতিসংঘের COY16 সম্মেলনে অক্টোবরের ২৯ নভেম্বর দেখানো হবে ছবিটি। আগামী ২৬ নভেম্বর ঢাকায়ও মুক্তি পাচ্ছে এই ছবিটি।

দেশে এ ছবিটির পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স। নির্মাণের পাশাপাশি ছবিটি প্রযোজনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত ও ফরাসি প্রযোজক ঈলান জিরার্দ।মুক্তির প্রাক্কালে গতকাল ঢাকা ক্লাবের ছবিটির পোস্টার উন্মোচন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজা, অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু, তিতাস জিয়া, তাসনোভা তামান্না ও সংগীত পরিচালক অর্ণব। এ সময় নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত বলেন, দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই এবং তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কার এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়। সমাজ, সংস্কৃতির উন্নয়ন এবং পরিবেশের অনাকাক্সিক্ষত পরিবর্তন রোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্র তথা বিনোদন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে ছবিটি।

তিনি আরও বলেন, ‘ছবিটি নির্মাণ করতে আজ থেকে তিন বছর আগে আমি গিয়েছিলাম পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত এক জেলেপাড়ায়। খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, উপকূলবর্তী সেই গ্রামটির এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই। জানতে পারলাম এই অঞ্চলে গত ২-৩ বছর ধরে সমুদ্রের পানির উচ্চতা খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে। জোয়ারের তীব্রতা তো রয়েছেই, গত বছর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানও অনেক ক্ষতি করেছে।’

ফজলুর রহমান বাবু বলেন, একটি চমৎকার আবহে, আমরা ‘নোনাজলের কাব্য’-তে কাজ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে একটা সিনেমা মানসম্মত হয়। আমি আশাবাদী, ‘নোনাজলের কাব্য’ আমাদের দেশের চলচ্চিত্র আঙিনায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমি আপামর সিনেমাপ্রেমীদের অনুরোধ করব, আপনারা সিনেমা হলে আসবেন এবং বড় পর্দায় দেখবেন আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি করা সিনেমা।

প্রসঙ্গত, এই ছবিটি ২০১৭ সালে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছিল ৫০ লাখ টাকা। পরের বছর ২০১৮ সালে ৮০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিল ফরাসি সরকারের সিএনসির ‘সিনেমা দ্যু মন্ড’ ফান্ড থেকে। এর পরের বছর ২০২০ সালে টরিনো ফিল্ম ল্যাব অডিয়েন্স (টিএফএল) ডিজাইন ফান্ড জিতে পেয়েছে ৪৫ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৫ লাখ টাকার সমান। এ অর্থের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটিকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সিনেমা হলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর