রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বিস্ফোরণে নিহত মঙ্গলীর পরিবারে শুধুই অন্ধকার

ভবন সিলগালা তদন্তে কমিটি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিস্ফোরণে দেয়াল ধসে নিহত মঙ্গলীর মেয়ে পূর্ণিমার পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা। নিজে অসুস্থ থাকলেও পূর্ণিমার খবর শুনে তার চিকিৎসায় চিকিৎসক পাঠিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে চিকিৎসার জন্য ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন। পাশাপাশি পূর্ণিমার বাড়ি সিলেটের ছাতকে হওয়ায় সেখানকার ইউএনওকে ফোনে অনুরোধ করেছেন যেন পূর্ণিমার থাকার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেন। ছাতকের ইউএনও তাকে আশ্বস্ত করেছেন। মা মঙ্গলীর মরদেহ মর্গে রেখেই দুপুরে বাসায় ফেরে ১১ বছরের পূর্ণিমা। মা হারা পূর্ণিমার চোখে এখন অন্ধকার দেখছেন। বৃদ্ধ দাদি ও ছোট বোনকে কীভাবে সামলাবে, সংসারইবা কীভাবে চলবে, সে চিন্তায় যেন শোকও ভুলে গেছে  ছোট্ট মেয়েটি। এদিকে, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে নিহত দুজনের পরিবারকে শেষকৃত্যের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, ফতুল্লায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন মঙ্গলী রানী। দুই মেয়ে ও শাশুড়িকে নিয়ে থাকতেন ফতুল্লার শিয়াচরের ভাড়া বাসায়। তাদের বাড়ি সিলেটের ছাতকে। অসুস্থ স্বামীর মৃত্যুর পর জীবিকার খোঁজে বড় মেয়ে পূর্ণিমাকে নিয়ে ১ বছর আগে ফতুল্লায় আসেন মঙ্গলী। পূর্ণিমাকে নিয়েই শুক্রবার সকালে হেঁটে পূর্ব শিয়াচরের একটি বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই বাড়ির নিচতলায় হঠাৎ বিস্ফোরণে দেয়াল ধসে পড়ে তাদের ওপর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর