বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

খুলনায় বেড়িবাঁধ সংস্কারে ১১৭২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন, উপকূলে উচ্ছ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার উপকূলে ঝুঁকিপূর্ণ জনপদ কয়রার দক্ষিণ বেতকাশী ইউনিয়ন। ঘূর্ণিঝড় আইলা-আম্ফানে বাঁধ ভেঙে এ অঞ্চলের আংটিহারা, মেদের চর, হরিহরপুর শাকবাড়িয়া, পদ্মপুকুর জোড় শিং, চোরামুখসহ বিস্তীর্ণ এলাকা লবণপানিতে তলিয়ে যায়। কৃষিজমি ও চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি জীবন-জীবিকা হুমকিতে পড়েছে। দুর্যোগপূর্ণ এ অঞ্চলে মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ।

অবশেষে দুর্যোগপূর্ণ কয়রার ১৪/১ পোল্ডার পুনর্বাসন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। গতকাল একনেকের বৈঠকে ১১৭২ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। টেকসই বেড়িবাঁধ প্রকল্পের অনুমোদন হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এ অঞ্চলের মানুষ। জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ বেতকাশি ইউনিয়ন ও উত্তর বেতকাশির (আংশিক) ৩১ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিধ্বস্ত ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মাটি, জিওব্যাগ দিয়ে নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে। ১০ কিলোমিটার বাঁধে ব্লক ডাম্পিং, বাঁধের ঢালে ব্লক স্থাপন ও পুরান কিছু ব্লকের সংস্কার কাজ হবে। পাউবো, সাতক্ষীরা ডিভিশন-২-এর সেকশন অফিসার মশিউল আবেদীন জানান, নতুন বাঁধের উচ্চতা বাড়িয়ে পাঁচ মিটার করা হয়েছে। বাঁধের উপরাংশও (টপ) পাঁচ মিটার চওড়া থাকবে। ডিজাইন ও দরপত্র দিয়ে মাঠপর্যায়ের কাজ শুরু হতে আরও দু-তিন মাস সময় লাগবে। তিনি বলেন, বাঁধ নির্মাণ হলে এ উপকূলের মানুষকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করা যাবে।

দক্ষিণ বেতকাশি ইউপি সদস্য রেজাউল করিম গাজী জানান, আইলা ও আম্ফানের পর বিধ্বস্ত কয়রা ও বেতকাশির মানুষ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বাঁধ উপচে লবণপানিতে ফসলি জমি ও বাড়িঘর ডুবে গেছে। লবণপানিতে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসংখ্য মানুষ জীবিকা হারিয়ে পথে বসেছে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর