মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

এবারও করোনায় চাপা পড়তে যাচ্ছে এইডস নিয়ে কর্মসূচি

কাল প্রকাশ করা হবে নতুন আক্রান্তের তালিকা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাস নিয়ে প্রায় দুই বছর ধরে অস্থির দেশ। পুরো স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যস্ত করোনা মোকাবিলায়। সব কর্মসূচিই পরিচালিত হচ্ছে করোনাকেন্দ্রিক। ফলে এইডস প্রতিরোধ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি করোনার চাপে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে গত বছর এইডস দিবসে কর্মসূচি সংকুচিত করা হয়। এ বছরও কর্মসূচি হবে সীমিত পরিসরে। জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চর্ম রোগ বিভাগের অধীন এন্টি রেট্রো ভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টারে এইডস আক্রান্তদের বিনামূল্যে রোগ নির্ণয়, ওষুধ, প্রয়োজন অনুসারে অপারেশনও করা হয়। তা ছাড়া রোগের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে রেফার করা হয়। এ সেন্টারে প্রতি মাসে ৬০-৭০ জন এইডস পরীক্ষা করাতে আসেন। এর মধ্যে চার-পাঁচ জনের পজিটিভ আসে। ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে এইডস আক্রান্ত মোট রোগী ৪১২ জন। ওই বছর নতুন করে শনাক্ত হন ৩৯ জন। ২০১৯ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭১ আর ২০১৮ সালে ৪৫ জন। ২০২১ সালের সংখ্যা আগামীকাল সরকারিভাবে প্রকাশ করা হবে।

চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রফিকুল মাওলা জানান, হাসপাতালে এআরটি কর্নারে এইডস রোগীদের বিনামূল্যে সেবা ও নিয়মিত ফলোআপ করা হয়।

এআরটি সেন্টারের মেডিকেল অফিসার ডা. দেবপ্রতিম বড়ুয়া বলেন, ‘চট্টগ্রামে এইডস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিতে হয় এমন রোগী নেই। পজিটিভ সব রোগী নিয়মিত ফলোআপে থাকেন। অতীতের চেয়ে এখন মানুষ অনেক বেশি সচেতন।’ এইডস বিশেষজ্ঞ ডা. ভাগ্যধন বড়ুয়া বলেন, ‘করোনা নিয়ে গোটা বিশ্ব ব্যস্ত। আসছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এসবের মধ্যে যেন এইডস নিয়ে সচেতনতার কর্মসূচি এবং চিকিৎসা চাপা না পড়ে। অতীতের ধারাবাহিকতায় এইডসের কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সময় ও অবস্থা ভেদে অব্যাহত রাখা জরুরি।’ জানা যায়, দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। এর পর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আক্রান্ত হন ৭ হাজার ৩৭৪ জন। ২০১৯ সালে দেশে নতুন করে আক্রান্ত হন ৯১৯ জন। এ ছাড়া ২০১৮ সালে আক্রান্ত হন ৮৬৯ জন, ২০১৭ সালে ৮৬৫ জন, ২০১৬ সালে ৫৭৮ জন ও ২০১৫ সালে ৪৬৯ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রবাসে অবস্থানরতদের ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান না থাকা, বিদেশে যাওয়ার আগে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত কাউন্সেলিং না হওয়া, বিদেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে ফেরাদের মাধ্যমে তাদের স্ত্রী ও সন্তানরা আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের মধ্যে এ ঝুঁকিটা বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর