বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রকোপে ২০২০ সালে অভিবাসন প্রবাহ অনেকাংশে কমে গেলেও ২০২১ সালে তা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। রামরু জানিয়েছে, ২০২০ সালে যেখানে কর্মের জন্য ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৯ বাংলাদেশি বিদেশে গেছেন, সেখানে চলতি বছর নভেম্বর পর্যন্ত গেছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৩ জন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে অভিবাসন প্রায় দ্বিগুণ বাড়বে বলে মনে করছে রামরু। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
‘বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০২১: সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন তুলে ধরেন রামরুর চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের মার্চ থেকে, বিশ্ব সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সংকট, কভিড-১৯ এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সমাজের সব ক্ষেত্র এবং প্রায় সব দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রতিফলন ঘটে । ২০২০ সালে, ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৯ বাংলাদেশি কর্মীরা কাজের জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৮১ হাজার ২১৮১ জন কর্মী ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ এর মাঝে অভিবাসিত হন। লকডাউনের কারণে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন ২০২০ সালে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত স্থবির হয়ে পড়ে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, মাত্র ৩৬ হাজার ৪১৩ জন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য অভিবাসন করেছিলেন। ২০২০ সালে সামগ্রিকভাবে অভিবাসনের প্রবাহ আগের বছরের তুলনায় ৬৯ শতাংশ কমে গিয়েছিল। ২০১৯ সালে অভিবাসিত কর্মীর সংখ্যা ছিল সাত লাখ ১৫৯ জন।
২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত, মোট ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৩ বাংলাদেশি কর্মের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগের বছরের (২০২০) তুলনায় ২০২১ সালে অভিবাসন বাড়বে প্রায় দেড়গুণ।