তৃতীয় দিনের মতো রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, দেশে কী প্রশাসন নেই। রোজার মাসে বাস বন্ধ করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলছে এই সমস্যা নিরসনে কারও মাথা ব্যথা নেই। বাস বন্ধ থাকায় গতকালও ঢাকাগামী শত শত যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। জানা গেছে, প্রতিদিন রংপুর থেকে ৭৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। অপরদিকে ঢাকা থেকে একই সংখ্যক বাস রংপুরে আসে। প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার যাত্রী ঢাকা-রংপুর যাতায়াত করেন। বাস ধর্মঘটের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মালিক সমিতি অথবা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন। জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, তারা ধর্মঘট ডাকেননি। মালিক পক্ষ এই ধর্মঘট করছে। অপরদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বলেছেন, এই ধর্মঘটের সঙ্গে পরিবহন মালিক সমিতির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে ধর্মঘট পালন করছেন। ধর্মঘটের জন্য দুই পক্ষ পরস্পর পরস্পরকে দায়ী করলেও সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই গ্রহণ করেননি। তবে কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড উপকমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঠু বলেন, এই স্ট্যান্ডে আমার জানা মতে শ্রমিকরা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়নি। তবে মালিকরা কী কারণে পরিবহনগুলো বন্ধ রেখেছে, তা আমরা জানি না।
শ্রমিকদের দাবি, ২-৩টি পরিবহনের চালকদের দৈনিক বেতন ভাতা ১ হাজার ৯৫০ টাকা, সুপারভাইজারের বেতন ৯০০ টাকা আর হেল্পারের বেতন ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। সেখানে অন্য সব পরিবহনের স্টাফদের প্রায় এর অর্ধেক বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়। এই বৈষম্য দূর করে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য তারা মালিক পক্ষের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু কোনো দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এছাড়া সড়কে পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ, বিভিন্ন সময়ে মামলায় আটক শ্রমিকদের মুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে পরিবহন মালিকসহ প্রশাসনের সহযোগিতা দাবি করেন তারা।