বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

ছাত্রলীগের আট ক্যাডারের বিচার শুরু

এমসি কলেজে গণধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সময় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলায় ছাত্রলীগের আট ক্যাডারের বিরুদ্ধে বিচার কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে পুলিশের দায়ের করা ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মামলার অভিযোগ গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাইদা খানম। গতকাল সকালে ওই মামলায় অভিযুক্ত আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি ধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু হাই কোর্ট আলোচিত এ ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলা একই আদালতে বিচার করার জন্য আদেশ দিলে এতদিন ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। পিপি রাশিদা জানান, এখন দুই মামলারই একসঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। তবে সাক্ষ্য গ্রহণ কবে শুরু হবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক আদেশ দেননি বিচারক।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় পরদিন সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দু-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন।

২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর আটজনকে আসামি করে দুটি মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আসামিরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়ার সাইফুর রহমান, হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বাগুনীপাড়ার শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার উমেদনগরের তারেকুল ইসলাম তারেক, জকিগঞ্জের আটগ্রামের অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুরের রবিউল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলার লামা দলইকান্দির মাহফুজুর রহমান মাসুম, সিলেট নগরীর গোলাপবাগ আবাসিক এলাকার আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও বিয়ানীবাজার উপজেলার নটেশ্বর গ্রামের মিজবাউল ইসলাম রাজন। গ্রেফতারকৃত এই আট আসামির সবাই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর