আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় স্লোগান ও গালিগালাজ করার পরিণতি হবে ভয়াবহ। বিএনপি নেতারা ‘১৫ আগস্টের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ এমন স্লোগান দিয়ে তাদের ঘাতক চরিত্রের পরিচয় আবারও স্পষ্ট করেছেন। গতকাল সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ও তাদের দোসররা সমাবেশের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বক্তব্য-বিবৃতিতে কোনো শালীনতা, সৌজন্যবোধও দেখাচ্ছে না তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও তারা নোংরা ভাষায় স্লোগান দিচ্ছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশের জনগণ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচারী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য মেনে নেয় না। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর রক্তচক্ষু ও ত্রাসের কাছে মাথা নত করে না আওয়ামী লীগ।

 তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বুটের তলায় পিষ্ট করে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র চাপিয়ে দিয়ে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছিলেন। একই সঙ্গে সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে সংবিধান ও আইনকে ভূলুণ্ঠিত করেছিলেন।

আইন বা নিয়ম-নীতির কথা শুনলেই বিএনপি নেতাদের গায়ে জ্বালা ধরে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, আর এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সরকারের অধীনে নয়।

শেখ হাসিনা সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে জানিয়ে কাদের বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী সেভাবেই যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।