সোমবার, ৩০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগকে সতর্ক থাকার নির্দেশ

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মহানগরীর চার শীর্ষ নেতার বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে বিএনপি যেন সন্ত্রাস-অগ্নিসংযোগ করতে না পারে সে ব্যাপারে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের সতর্ক থাকতে বললেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মহানগরীর চার শীর্ষ নেতার বৈঠকে এ নিদের্শনা দেন তিনি।  

চার নেতা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সাংগঠনিক নিদের্শনা, দেশের জন্য রাত-দিন পরিশ্রম করা, জাতির পিতার সংগ্রামসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। বৈঠকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করা এবং বিএনপির নাশকতার বিষয়ে সতর্ক থাকার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে নেত্রী আমাদের কিছু দিকনিদের্শনা দিয়েছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, বিএনপিকে আন্দোলন করতে দিতে হবে। আন্দোলন করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তারা (বিএনপি) গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলে কোনো কিছু বলা হবে না। কিন্তু আন্দোলনের নামে দেশের সম্পদ নষ্ট, রাস্তায় সন্ত্রাস করা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করলে বরদাশত করা হবে না। আর আপনারা (ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ) চোখ-কান খোলা রাখবেন। তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করুক। বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানান, এ সময় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মহানগরে সাংগঠনিক অবস্থা, কোন্দল নিয়ে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল সামনে রেখে দলকে গুছিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেন।  বৈঠকে আগস্টের আগেই ঢাকা মহানগর উত্তরের অধীনস্ত থানা ও ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা সভানেত্রীর সঙ্গে থানা ও ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন আয়োজনের বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি আমাদের বলেছেন, ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন করে কমিটি জমা দিতে।’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন করে জুলাইয়ের মধ্যে এ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম সভানেত্রীর কাছে জমা দেব। এ কমিটি অনুমোদন প্রক্রিয়ার থাকার সময়ের মধ্যেই আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটির অন্য পদগুলোর খসড়া চূড়ান্ত করে ফেলব। যেন নভেম্বরের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া যায়।’ বৈঠকের একটি সূত্র জানান, আগামী নভেম্বরের মধ্যেই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এ দুই শাখার অধীনস্ত সব কমিটি গঠনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনের মধ্যদিয়ে গঠিত কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ নভেম্বর। সাধারণত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে ঢাকা মহানগরের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর