সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

অর্থ পাচার মামলায় খালাস দেওয়া বিচারকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখার অভিযোগে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর সাবেক বিচারক মো. মোতাহার হোসেনের (৬৭) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ গতকাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (সজেকা ঢাকা-১) এ মামলাটি করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়- মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। প্রসঙ্গত, অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছিলেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক মোতাহার হোসেন। দুদকসূত্র জানান, অনুসন্ধানে দেশে মোতাহার হোসেনের মোট অর্জিত সম্পদ পাওয়া গেছে ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকার। এর মধ্যে তার বৈধ আয় পাওয়া গেছে ৪১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৫ টাকা। ২০১৪ সাল থেকে সাবেক এই বিচারক মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাঁর কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তা মামলার পরবর্তী তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে।

 ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি বিচারক মোতাহার হেসেনের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি এবং সম্পদের তথ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি অবসরে যান। তাঁর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে ব্যক্তিগত গাড়িচালক সোহরাব হোসেন ও দেহরক্ষী বাদল দেওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি উপস্থিত থাকতে চিঠি দেয় দুদক। দুদকের কাছে মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর ছেলে লন্ডনে পড়াশোনা করেন। বিচারক লন্ডনে বাড়ি কিনেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতেও তিনি দুটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এ ছাড়া তাঁর গ্রামের বাড়ি নাটোরে নামে-বেনামে প্রায় ৫০ বিঘা কৃষি-অকৃষি জমি আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয় দুদক। ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর রায়ে তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদন্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রহিম ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মানি লন্ডারিং আইনে ওই মামলাটি করেন। তাতে অভিযোগ করা হয়- তারেক রহমান ও মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পথে মোট ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর