শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

১০১ বছর পূর্তি ও ১০২তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস গতকাল উদযাপিত হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

উৎসবমুখর পরিবেশে ১০১ বছর পূর্তি ও ১০২তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়ানো, কেক কাটা ও আলোচনা সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল- ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। গতকাল দিনটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। সকালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন, পরে পায়রা উড়ানো, বেলুন উড্ডয়ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম জন্মদিনে ১০২ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শোভাযাত্রা সহকারে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আসে হলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সংগীত বিভাগের আয়োজনে পরিবেশিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের থিম সং। এরপর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবন : ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সহযোগিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।

মূল প্রবন্ধে ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, শিক্ষক-গবেষক এবং শিল্প খাতের যৌথ গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে উভয় পক্ষ তথা দেশ উপকৃত হবে। প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল তৈরি এবং শিল্প খাতে নানা উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নতি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এরই মধ্যে একটি শিল্প খাত-একাডেমিয়া সহযোগিতা প্ল্যাটফরম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য বাস্তবতার মূল্যায়ন করে নির্দিষ্ট করণীয়সমূহ চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সরকার বাস্তবতাভিত্তিক যথাযথ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর