বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

শেকৃবির ডাইনিংয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের চাঁদাবাজি

শেকৃবি প্রতিনিধি

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে আবাসিক হলটির ডাইনিংয়ে প্রতি মাসে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে করা অনুসন্ধানে এর সত্যতাও মিলেছে। অভিযোগমতে, ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির খপ্পরে পড়ে বাধ্য হয়েই খাবারের দাম বাড়াতে হচ্ছে, সঙ্গে কমছে খাবারের মানও। এ অবস্থায় গত ছয় মাসে ডাইনিংয়ের তিনজন ম্যানেজার পরিবর্তন হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ১৭ জুলাই হল খুললেও সাত দিন পর ২৪ জুলাই চালু হয়েছে ডাইনিং। এ সাত দিন ডাইনিং চালু না হওয়ার মূল কারণ খাবারের মূল্য নির্ধারণ। সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরবিহীন এক নোটিসে বলা হয়, ‘বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় খাবারের মান ঠিক রাখতে হল ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে ডাইনিংয়ের খাবারের মূল্য ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হলো।’ অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত বছর ১২ ডিসেম্বর  ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণার পর ডাইনিংটি থেকে নির্ধারিত হারে মাসিক চাঁদা দাবি করে আসছেন সংশ্লিষ্ট হল ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ। তাদের খপ্পরে পড়ে ছয় মাসে পরিবর্তন হয়েছেন তিনজন ডাইনিং ম্যানেজার। সর্বশেষ ডাইনিং পরিচালনার দায়িত্ব নেন এ হলের সহকারী বাবুর্চি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে আসছেন। ফলে খাবারের মানের আরও অবনতি হলে সাধারণ ছাত্ররা তাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এ অবস্থায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সম্মতিক্রমে খাবারের দাম বাড়ান হল কর্তৃপক্ষ। পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্টের সঙ্গে তাঁর রুমে সহকারী প্রভোস্ট, হল ছাত্রলীগ সভাপতি, গণমাধ্যমকর্মী, ডাইনিং কর্মচারী ও সাধারণ কিছু শিক্ষার্থীর মিটিং হয়। মিটিংয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে খাবারের দাম ৩০ টাকা বহাল রাখা হয়। অভিযুক্ত হল সভাপতি সজীব ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সজীব বলেন, ‘এসব ভিত্তিহীন কথা। বরং আমরাই ডাইনিংয়ের মানোন্নয়নের জন্য চেষ্টা করছি। তা ছড়া আমরা তো নতুন দায়িত্ব পেয়েছি, এখনো ওই পর্যন্ত রিচ করতে পারিনি।’

সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাছেও বিভিন্ন সময় অভিযোগ এসেছে। উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর