বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

এ সরকারের উন্নতি ঘরে ঘরে মোমবাতি : গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে কয়েক মাস আগে সরকারের অনেক মাতামাতি শুনলেও আসলে তা ছিল ফাঁকা বুলি। তাই এ সরকারের উন্নতি মানে ঘরে ঘরে মোমবাতি। জনগণের হাতে এ সরকার হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে-মধ্যে দেখা করতে আসে। বিদ্যুৎ এসে বলে, এখনো বেঁচে আছি, মরিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে বিদ্যুতের ঘাটতি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। বিদ্যুৎ নেই, আমার টাকা গেল কোথায়? গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মরণে এ সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এতে প্রয়াত শফিউল বারী বাবুর সহধর্মিণী বিথিকা বিনতে হোসাইনও উপস্থিত ছিলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, বিদ্যুতের জন্য যে টাকা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে সে টাকা তো জনগণকে পরিশোধ করতে হবে। তাই সরকারকে বলব, আপনারা শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন জাতির সামনে। কোন কোন কোম্পানিকে কত টাকা দিয়েছেন, কোন কোন কোম্পানিকে কুইক রেন্টাল বেসিসে প্রণোদনার জন্য দিয়েছেন। কোন কোন প্রজেক্টে আপনারা কত টাকা ব্যয় করেছেন, তার সামগ্রিক উৎপাদন ক্যাপাসিটি কত, আপনারা পেয়েছেন কত এবং এখন ঋণ আছে কত? এটা জাতির সামনে সুস্পষ্ট করে বলেন।

সরকারপ্রধানের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আপনি যে বিএনপিকে বললেন আপনার বাড়ি ঘেরাও করতে এলে আপনি চা খাওয়াবেন। জনগণ গণভবনে চা খেতে যাবে না, যাবে আপনাকে বিদায় করতে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ সরকার যতদিন আছে, আপনিও ততদিন আছেন। সুতরাং যে কদিন আছেন বেতন-ভাতা খান, চুপচাপ বসে থাকেন। নির্বাচন নিয়ে, রাজনীতি নিয়ে, রাজনৈতিক দল নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে ওই সাংবিধানিক পদে বসে থেকে সবক দেওয়ার অধিকার আপনাকে কেউ দেয়নি। আশা করি বাংলা কথাটা বুঝতে আপনার কষ্ট হবে না। 

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। সে কাজটাই এখন আমাদের জরুরি। সভা-সমাবেশ নয়, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর