শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ডায়রিয়ার কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ টিম

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ডায়রিয়ার কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ টিম

চট্টগ্রামে প্রতিদিনই নতুন করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। তবে ডায়রিয়ার কারণ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) বিশেষজ্ঞ টিম। বিশেষজ্ঞ টিম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে কারণ অনুসন্ধান করার কাজ করছেন। জানা যায়, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসার্স ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) চিকিৎসাধীন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের দেখতে আসেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) ডা. ইমতিয়াজ হোসেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বিষয়ে খবর নেন। তাছাড়া গতকাল বিকালে ডায়রিয়া রোগের আউট ব্রেক ইনভেস্টিগেশনের জন্য আইইডিসিআরের কিউরেটর ডা. মো. ওমর কাইয়ুমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ টিম আসেন। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়। বিআইটিআইডির সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং গতকাল আইইডিসিআরের একটি বিশেষজ্ঞ টিম বিআইটিআইডিতে আসেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি ভর্তি রোগীর সঙ্গে কথা বলেন এবং আক্রান্ত স্থান বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। দুটি দলই ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রতিবেদন জমা দেবেন। জানা যায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত  বিআইটিআইডিতে নতুন রোগী ভর্তি হন ৬৯ জন, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হন ৫৫ জন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হন ৪৭ জন, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ভর্তি হন ৪০ জন এবং ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভর্তি হন ১৬ জন। এর বাইরেও অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্ত রোগীরা চট্টগ্রাম নগরের ফ্রি পোর্ট, ইপিজেড, পতেঙ্গা, হালিশহর, সল্টগোলা ক্রসিং, উত্তর আগ্রাবাদসহ আশপাশের এলাকার। আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুও আছে। জানা যায়, ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে মাসে জন্ডিসের প্রকোপ দেখা দেয় নগরীর হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায়। মৃত্যু হয় তিনজনের। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পানিবাহিত ডায়রিয়া-কলেরা ছড়িয়ে পড়ে ঘরে-ঘরে। চলতি বছরের গত মে মাসে পুনরায় পানিবাহিত ডায়রিয়া ও কলেরা রোগের প্রকোপ দেখা দেয় ইপিজেড, হালিশহর, পতেঙ্গা, উত্তর আগ্রাবাদ ও বন্দর এলাকায়।

এবার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অধিকাংশেরই পাতলা পায়খানা হচ্ছে। একই সঙ্গে অনেকের আবার বমিও আছে। কারও কারও পানিশূন্যতাও দেখা দিয়েছে। তাছাড়া একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর