খুলনার বটিয়াঘাটায় মৎস্য ঘেরে চাঁদাবাজি, মারধর ও হত্যার হুমকি মামলায় ভান্ডারকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ শেখ ও তার ভাই অহিদুল শেখকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। গতকাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ২৯ জন আসামি জামিন আবেদন করলে বিচারক মো. হাদিউজ্জমান ২৭ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৩৮৫ ও ৩০৭ ধারায় অভিযোগের সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকায় তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মামলার বাদী পক্ষে আইনজীবী মো. শাহ আলম তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ১ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীখোলা মৎস্য চাষি সমবায় সমিতির সদস্য কাকন বয়াতি বাদী হয়ে ২৯ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজি, মারধর ও হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। ওই দিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরিফ ও সাব্বির নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, বটিয়াঘাটা উপজেলা হালিয়া গ্রামে লক্ষ্মীখোলা মৎস্য চাষি সমবায় সমিতি স্থানীয় গোগের খালের বরাদ্দ নিয়ে মাছ চাষ করছে। ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ শেখ ও তার ভাই অহিদুল ওই ঘেরের মাছ প্রতিবার বিক্রির সময় তাদের ১ লাখ টাকা ও প্রতিমাসের ২৫ তারিখের মধ্যে ২ লাখ টাকা করে চাঁদার দাবি করেন। প্রথম কিস্তির টাকা ২৫ আগস্টের মধ্যে পরিশোধের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এই চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ২৬ আগস্ট রাতে ঘেরে হামলা চালিয়ে কাকন বয়াতি, কাইয়ুম গাজী ও মোস্তফা ফকিরকে মারধর করে জখম করা হয়। এ সময় মাছ বিক্রির টাকা, মালামাল লুট ও গুলি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসামিরা। পরে ঘের মালিক ও কর্মচারীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
