শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে বিএমইটি শুরু হলো অটোমেশন

নিয়োগ-প্রক্রিয়াসহ সব সেবা পাওয়া যাবে অনলাইনে

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বদলে যাচ্ছে বিএমইটি শুরু হলো অটোমেশন

বদলে যাচ্ছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। সরকারের এই সংস্থাটির সেবা কার্যক্রমে শুরু হলো অটোমেশন। নিয়োগ-প্রক্রিয়াসহ চারটি সেবা ডিজিটালাইজড করার মধ্য দিয়ে শুরু হলো অভিবাসন খাতের সেবাদান। গতকাল রাজধানীর গুলশানে এ অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এখন থেকে প্রশিক্ষণ, কর্মী নিবন্ধন, স্মার্ট কার্ড, মেডিকেল সনদ- এসব এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে সম্পন্ন হবে। আশা করা হচ্ছে, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের হয়রানি বন্ধ হবে। এতে একজন অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মীর সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

অটোমেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিএমইটি মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম (এনডিসি), ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, বায়রার সভাপতি মো. আবুল বাসার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আলদুহাইলান প্রমুখ।

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএমইটির এই অটোমেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, বিএমইটির সেবা ডিজিটালাইজেশন শুনতে যতটা বড় মনে হচ্ছে, আমি মনে করি এর প্রভাব আরও বেশি পড়বে অভিবাসন খাতে। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। আজ প্রতীয়মান হচ্ছে যে আমরা কতটা সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। মনমানসিকতায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমার কাজ কর্মীদের বিদেশ পাঠানো।

এখন আর এনালগ পদ্ধতিতে পাঠানো যাবে না, ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠাতে হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে কর্মীদের যেন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে না হয়। কর্মীকে বিদেশ পাঠানোর প্রক্রিয়া আমাদের ত্বরান্বিত করতে হবে। ডিজিটালাইজেশন আমাদের তাতে সহায়তা করবে এবং বিদেশে কর্মী পাঠানোর ধাপ কমে আসবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলাম কৃষি, পোশাক শিল্প, প্রবাসীদের মাধ্যমে। একদিকে প্রবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। অপর দিকে পোশাকশিল্প থেকে ভাই-বোন ৩০ থেকে ৩৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে। কৃষিতে সাড়ে ৩ কোটি শ্রমিক আমাদের অর্থনীতির মূল চলনশক্তি।

জানা যায়, ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন থেকে শুরু করে, চাকরি খোঁজা, রিক্রুটিং এজেন্সির সিলেকশন, বিদেশ যাওয়ার প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্তিসহ বিএমইটির ক্লিয়ারেন্স প্রাপ্তির মাধ্যমে কিউ আর কোড সংবলিত ডিজিটাল স্মার্টকার্ড পাওয়া যাবে। এই অ্যাপের পক্ষ থেকে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরিক ইকরামুল হক জানান, এখন পর্যন্ত এই অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৫ লাখ, বিএমইটির নিবন্ধন হয়েছে ১৮ লাখ এবং ৫০০-এর বেশি রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, ২ হাজারেরও বেশি কাজের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া এই অ্যাপের সহায়তায় ১৫ লাখ কর্মী টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর