শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
জেলহত্যা দিবস পালিত

পরিকল্পনাকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিকল্পনাকারীদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বনানী কবরস্থানে শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। শোক আর শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করেছে জাতি। ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং বনানীতে জাতীয় চার নেতার তিনজন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরেক জাতীয় নেতা এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সমাধি রাজশাহীতে। এ ছাড়া আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনটি পালন করে। এ সময় বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেলহত্যা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণতদন্ত কমিশন গঠন করে এসব হত্যাকান্ডের যারা মূল পরিকল্পনাকারী তাদের বিচার সম্পন্ন করার দাবি ওঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রথমে সরকারপ্রধান হিসেবে, পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতাদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

ধানমন্ডি থেকে বনানী কবরস্থানে যান প্রধানমন্ত্রী। ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যার শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য এবং ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় নেতাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বনানী থেকে চলে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি। একই সময়ে রাজশাহীতে এ এইচ এম কামারুজ্জামানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

যেখানে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, ঢাকার সেই পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর। চকবাজারের সেই পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে নিহত চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমদ সোহেল তাজ, বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এ এইচ এম কামারুজ্জামানের ছোট ছেলে এহসানুজ্জামান স্বপন এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমপুত্র তানভীর শাকিল জয় এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে জাতীয় চার নেতার স্মরণে প্রদীপ প্রজ্বালন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের সহসভাপতি কণ্ঠশিল্পী ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর