মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সবুজের প্রকৃতি সিংড়া ফরেস্ট

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

সবুজের প্রকৃতি সিংড়া ফরেস্ট

সুন্দর নিরিবিলি গাছ-গাছালির মোহনীয় প্রকৃতির নয়নাভিরাম বীরগঞ্জের সিংড়া ফরেস্ট। যা দর্শনাথী, পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ। সিংড়া ফরেস্টে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পর্যটকদের চিত্তবিনোদনের জন্য সিংড়া জাতীয় উদ্যান করা হলেও পর্যটকদের জন্য বাড়েনি সুযোগ-সুবিধা। অথচ রাবার ড্যামের মাধ্যমে বনের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নর্ত নদীকে বারো মাস সজীব রাখা, একটি টাওয়ার স্থাপন, শিশু পার্ক তৈরি, সুন্দর একটি ফটক নির্মাণসহ কিছু সংস্কারমূলক কাজ করা হলে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়লে রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি সিংড়া শালবন হয়ে উঠতে পারে পর্যটকদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান- এমনটাই বললেন বনে আসা আবদুর রাজ্জাক, লালুসহ কয়েকজন পর্যটক। এক সময়ে বিভিন্ন বন্য জীবজন্তুর অবাধ বিচরণের অভয়ারণ্য ছিল গহিন অরণ্য সিংড়া ফরেস্ট। যদিও এখন আর সেই বাঘ, নীলগাই  নেই। বনকে আকর্ষণীয় করেছে মাঝ দিয়ে বয়ে চলা নর্ত নদী। নদীর ওপর আছে আকর্ষণীয় সেতু। যার ওপর দিয়ে শুধু মানুষই পারাপার হতে পারবে, কোনো যানবাহন নয়।

কোনো পর্যটক যদি বনভোজন উৎসব করতে চান আসতে হবে শীতকালে। অন্য সময়েও অনেকে আসেন। বনের সবুজময় ভরা যৌবন ও নদীর উচ্ছলতা দেখতে চাইলে আসতে হবে বর্ষাকালে। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা এ শালবন তথা জাতীয় উদ্যানটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট। সারি সারি আকাশছোঁয়া দীর্ঘ সুউচ্চ শালগাছের সবুজ আচ্ছাদন পর্যটকদের দূর থেকে যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। বনের মধ্য দিয়ে মেঠো পথে একাকী হাঁটতে হাঁটতে হয়তো মনে পড়বে সেই পুরনো দিনের গান। বনে প্রবেশেই শোনা যাবে পাখির কিচিরমিচির শব্দ। দেখা যাবে তিলা ঘুঘু, রাজঘুঘু, কাঠঠোকরা, বুলবুলি, হাঁড়িচাচা, শকুনসহ অনেক পাখি।

বনের ভিতর দিয়ে রাস্তার প্রায় শেষপ্রান্তে মিলবে ছোট ছোট মাটির ঘর। ৬০-৭০টি আদিবাসী পরিবার বসবাস করে এখানে। বনের মধ্যে রয়েছে বড় বড় উঁইপোকার মাটি দিয়ে তৈরি ঢিবি, লম্বা লম্বা গিলা লতা। গ্রামীণ আবহে অত্যন্ত কাছ থেকে আদিবাসীদের জীবনযাত্রা দেখা যাবে।

সিংড়া শালবনের বিট কর্মকর্তা হরিপদ দেবনাথ জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ চিত্তবিনোদন বা পিকনিক করার জন্য এখানে আসে। বছরের সব সময়েই পর্যটকরা আসে। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য রয়েছে ছোট পরিসরে রেস্ট হাউস। দুটি পিকনিক স্পট। পিকনিক করার জন্য বিশেষ করে শীত মৌসুমে বেশি জনসমাগম ঘটে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর