শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সাদকি জাতের কমলা চাষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

সাদকি জাতের কমলা চাষ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রথমবারের মতো ভারতের দার্জিলিং ও ভুটানের সাদকি জাতের কমলা চাষ করা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে এ কমলা চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক। তার এ সাফল্য দেখে এখন কমলা চাষ করার জন্য এলাকার অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কমলার চাষ করে তিনি কীভাবে সফলতা লাভ করেন তা জানতে গিয়েও পরামর্শ নিচ্ছেন অনেকেই।

কমলার গ্রাম হিসেবে এরই মধ্যে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের সুজনেরকুটি গ্রামটি নতুনভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। কমলার ওজনে নুয়ে পড়া ডালগুলো বাঁশের লাঠি বা ঠেকা দিয়ে উঁচু করে আটকে রাখা হয়েছে। থোকায় থোকায় পাকা ও আধা-পাকা কমলাগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে।

সম্প্রতি সরেজমিন জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার আবু বক্করের বাগানের প্রতিটি গাছে কাঁচা-সবুজ ও হলুদ রঙের কমলা ঝুলে আছে। ভারতের দার্জিলিংয়ের সাদকি জাতের এ কমলা মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আবু বক্কর চার বছর আগে যশোর জেলার মহেশ গ্রামে এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কমলার বাগান দেখে মুগ্ধ হন। সেখান থেকেই তিনি কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হন। সাদকি জাতের ২১০টি  চারা এনে ৩০ শতক জমিতে ১০ ফুট দূরত্বে রোপণ করেন। অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৩৫টি গাছ রক্ষা করেন তিনি। প্রত্যেকটি গাছে এখন প্রায় ৮০-৯০ কেজি কমলা ধরেছে।

কমলা বাগানের মালিক কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, দেশে পাহাড়ি এলাকায় কমলার বাগান আছে। এ ছাড়া বাজারে ভুটান ও ভারতের দার্জিলিং থেকে আমদানি করা কমলার প্রাধান্য বেশি। কমলা চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে আর বিদেশ থেকে কমলা আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। এমন সুস্বাদু কমলা বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। বর্তমান বাগানে যে কমলা আছে তা বিক্রি করলে যাবতীয় খরচ মিটিয়ে কমপক্ষে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করবেন বলে তিনি আশা করেন। এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াছমিন জানান, এ উপজেলার মাটি লেবু জাতীয় ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবার প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক কমলার চাষ করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে কমলার চাষাবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর