সম্প্রতি সফরে আসা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারীদের পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কোথায় আছে, কোন অবস্থানে সেটা দেখার জন্য আইএমএফ প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছিল। তারা প্রাণ খুলে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এ অর্জনগুলো একা একা হয়নি, শুধু সরকারের হাত দিয়েও হয়নি। করদাতাদের বড় অবদান রয়েছে। তিনি বলেন, ১৪ বছর আগে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ছিল ১০০ বিলিয়ন ডলার, এখন তা চার গুণ বেড়ে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
তেমনি মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার ছিল তা বেড়ে হয়েছে ২৮৬৪ ডলার। আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশ। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়া।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাদের পরামর্শ দিন, আমরা আপনাদের পরামর্শ নেব। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনাদের শক্তিশালী করে ভ্যাট সংগ্রহ করা। এ ভাবেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশকে আরও এগিয়ে নিতে গেলে সবার এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এখনো যাদের মূসক কর জালের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি, তাদের মূসকের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যারা নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছেন তাদের হয়রানি না করে নতুন নতুন ভ্যাটক্ষেত্র শনাক্ত করে রাজস্বের আওতায় আনা জরুরি। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈষম্য দূর হবে। মাঠপর্যায়ে অভিযান চালিয়ে খাতাপত্র আটক করা, হয়রানি করা, নোটিস দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির যে অভিযোগ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাওয়া যায় তা স্থিতিশীল ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের জন্য সহায়ক নয়। তবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে রাজস্ব ফাঁকি দেয় আমরা তাদের পক্ষে নই।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। ‘উন্নয়নের ভ্যাট নীতি, ভ্যাট দিয়ে গড়ব জাতি’ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহর ও কমিশনারেট কার্যালয়ে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন হচ্ছে। একই সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপনের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নিয়েছে এনবিআর।
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গত তিন বছরে করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি ও বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আরেক দফা সংকটে আছি। সেদিক থেকে আমরা রাজস্ব আদায়ে পিছিয়ে পড়িনি। ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধির মধ্যে আছি। রাজস্বে গত বছরের প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশ ছিল, এ বছরও আগের মতোই প্রবৃদ্ধি থাকবে।
 
                         
                                     
                                                             
                                     
                                     
                                     
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                        