সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কঠোর আওয়ামী লীগ বিএনপি সতর্ক

নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে তৃর্ণমূলে অস্বস্তি জাতীয় পার্টির

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

কঠোর আওয়ামী লীগ বিএনপি সতর্ক

অভ্যন্তরীণ দ্বিধাবিভক্তি দূর করতে সাংগঠনিক কঠোর অবস্থান নিয়েছে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ। তৃণমূলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বহিষ্কার, কারণ দর্শানো নোটিসসহ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আর রাজপথ দখলে রাখতে মহানগর আওয়ামী লীগ পালন করছে টানা কর্মসূচি। অপরদিকে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার এড়াতে সংক্ষিপ্ত ঝটিকা কর্মসূচি পালনসহ সাংগঠনিক সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। আর নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে তৃণমূলে অস্বস্তিতে রয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতারা।

জানা যায়, খুলনায় হঠাৎ করেই বিএনপির সাংগঠনিক তৎপরতায় রাজপথে সক্রিয় হয়েছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক শক্তির জানান দিতে ওয়ার্ড পর্যায়ের সমাবেশ ও শহরজুড়ে গণমিছিলের পর এবার থানা পর্যায়ে বিজয় সমাবেশ কর্মসূচি শুরু করেছে। সর্বশেষ ১৭ ডিসেম্বর নগরীর শিববাড়ি মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা আয়োজিত বিজয় সমাবেশে কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে তালুকদার আবদুল খালেক ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এ সময় সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক রাজপথে ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। একই দিন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জেলা তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অজয় সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার, সহসভাপতি রফিকুর রহমান রিপন এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিস ও ডা. শেখ বাহারুল আলমকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ থেকে সাময়িক বহিষ্কারে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশের সিদ্ধান্ত হয়। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী বলেন, তৃণমূলে সংগঠন শক্তিশালী করতে একই সঙ্গে জমি দখল, নির্যাতন, মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন বাধাগ্রস্তসহ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে আওয়ামী লীগ নিজেদের গুছিয়ে নিতে রাজপথে তৎপর থাকলেও আন্দোলনে নেমে বিপাকে পড়েছে বিএনপি। বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার এড়াতে ঝটিকা কর্মসূচি পালনেও সতর্ক রয়েছেন নেতারা।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান জানান, তেরখাদা, রূপসা, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়ায় পুলিশ বিএনপির অসুস্থ ও চিকিৎসাধীন নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। নানা কাহিনি সাজিয়ে রূপসা থানার মিথ্যা মামলায় তেরখাদার উপজেলা বিএনপি সভাপতি চৌধুরী কওসার আলীসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে। ৯টি উপজেলা ও দুই পৌরসভায় প্রতিরাতেই নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশির নামে ত্রাস সৃষ্টি করছে। আর পাল্টাপাল্টি এ অবস্থার মধ্যে অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে হতাশা রয়েছে জাপা নেতা-কর্মীদের মধ্যে। মহানগর জাপা সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মামুন জানান চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের পর বহিষ্কৃতরা মাথাচাড়া দিয়েছেন। তৃণমূলে অনিশ্চয়তার মধ্যে সাংগঠনিক কর্মকা ও ঝিমিয়ে পড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর